প্রতিবেদক: মাহফুজুর রহমান
গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সাজিদ ভবনের নিচে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই পক্ষের মারামারিতে বেশ কয়েকজন আহত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রফিক বিন সাদেকের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে। দুপুরে ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকর্মী তাকে বিভাগের সামনে আটক করেন এবং পরবর্তীতে সেখানে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, একপর্যায়ে রফিকের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, “ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছে। আগে থেকেই তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হুমকি দিয়ে আসছিল। সাজিদ নামের এক ব্যক্তি ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে, পরে আরও কয়েকজন তার অনুসরণে প্রবেশ করে। এই পুনঃপ্রবেশের বিরুদ্ধে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নিলে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মব তৈরি করে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। শিক্ষকদের ওপর হামলার অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অতিরঞ্জিত।”
তিনি আরও বলেন, “ছাত্রলীগকে পুনর্বাসনের নামে কোনো একপেশে সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিলে ছাত্রদল তার শক্ত বিরোধিতা করবে। শান্তিপূর্ণ ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসীদের অবস্থান বরদাশত করা হবে না।”
অন্যদিকে, সংঘর্ষে আহত গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের নেতা ফেরদৌস শেখ অভিযোগ করেন, “একজন জুলাই যোদ্ধাকে ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে ছাত্রদলের নেতারা মারধর করেন। পরে শিক্ষকদের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করতে গেলে আমাদের ওপরও হামলা চালানো হয়। এতে ছাত্রকল্যাণ পরিচালক এবং ম্যানেজমেন্ট বিভাগের দুইজন সহযোগী অধ্যাপকসহ বাগছাস জবি শাখার আহ্বায়ক আহত হন। আমি সরকারের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।”
ঘটনার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তাজাম্মুল হক সাংবাদিকদের বলেন, “ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা প্রক্টরিয়াল টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। শিক্ষক সমিতির সভাপতি বিষয়টি সমাধানে ইতিবাচক ভূমিকা নিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সিনিয়র অধ্যাপকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রশাসন যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।”
এ বিষয়ে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, “বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাই—ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। একটি শান্তিপূর্ণ শিক্ষাব্যবস্থায় সহিংসতা ও রাজনৈতিক সন্ত্রাসের কোনো জায়গা নেই।
যোগাযোগ
বার্তা বিভাগঃ 01788-729304, 01883-306048
ই-মেইল: shadhinsurjodoy@gmail.com
© ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | স্বাধীন সূর্যোদয় | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।