মোহাম্মদ মামুন উদ্দিন (অনলাইন রিপোর্টার)
নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ভারী বর্ষণ ও অস্বাভাবিক জোয়ারে বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রবল পানি প্রবেশ করেছে লোকালয়ে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন অন্তত এক লক্ষাধিক মানুষ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নলচিরা, সুখচর ও নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, টানা বৃষ্টিপাত ও জোয়ারের চাপে নলচিরা ও সুখচর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে বসতবাড়ি, দোকানপাট ও রাস্তাঘাট। সুখচর ইউনিয়নের রামচরণ বাজার এলাকার পাশ দিয়ে থাকা একটি কালভার্ট ধসে পড়েছে, ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থাও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
এছাড়া চরঈশ্বর, হরণী, চানন্দী ও সোনাদিয়া ইউনিয়নেও দেখা দিয়েছে ভয়াবহ নদীভাঙন। প্রতিদিনই ভিটেমাটি হারাচ্ছেন মানুষ। স্থানীয়দের অভিযোগ, পর্যাপ্ত ও টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকার কারণে এমন দুর্ভোগ দীর্ঘদিন ধরে চলেছে, কিন্তু প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ এখনো দৃশ্যমান নয়।
সুখচর ইউনিয়নের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. কেফায়েত উল্লাহ বলেন,
আমরা অসহনীয় দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছি। পানি ঘরে ঢুকে গেছে, ব্যবসা বন্ধ। প্রশাসনের তেমন কোনো সহযোগিতা আমরা এখনো পাইনি। জরুরি ভিত্তিতে সহায়তা ও টেকসই বাঁধ নির্মাণ প্রয়োজন।”
নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের বাসিন্দা ও সমাজকর্মী মো. আজগর আলী রবিন বলেন,
“নিঝুম দ্বীপে কোনো বেড়িবাঁধ নেই। একটু বৃষ্টি ও জোয়ারেই পুরো এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। ঘরবাড়ি ভেসে যাচ্ছে, বিদ্যুৎও প্রায় থাকেই না। পর্যটন এলাকা হিসেবে পরিচিত এই দ্বীপ রক্ষায় সরকারকে এগিয়ে আসতেই হবে। মানুষ এখন কর্মহীন, মানবিক সহায়তা জরুরি।”
এদিকে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জরিপ চলছে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা কার্যক্রম শিগগিরই শুরু হবে।
দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে হাতিয়ায় নদীভাঙন ও দুর্যোগের এই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
যোগাযোগ
বার্তা বিভাগঃ 01788-729304, 01883-306048
ই-মেইল: shadhinsurjodoy@gmail.com
© ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | স্বাধীন সূর্যোদয় | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।