কক্সবাজার প্রতিনিধি
চকরিয়া উপজেলার দুলাহাজারা ইউনিয়নের মামুমঘাট এ অবস্থিত রিংভং রহমানিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহ-সুপার মোহাম্মদ আবু হুরাইরা অভিযোগ করেছেন, মাদ্রাসার বর্তমান সুপার মাহবুবুল আলম সিদ্দিকী তাঁর নামে ভুয়া নিবন্ধন সনদ তৈরি করে এমপিও ফাইলে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। অভিযোগ অনুযায়ী, সহ-সুপার কখনও নিবন্ধন পরীক্ষা দেননি এবং কোনো নিবন্ধন সনদ প্রদানও করেননি।
তিনি আরও জানান, ০৭/০৬/২০২২ তারিখে মাদ্রাসাটি দাখিল পর্যায়ে এমপিওভুক্ত হয়। এমপিওভুক্তির সময় সকল শিক্ষক-কর্মচারীর ফাইল সুপার নিজে তৈরি করে মাউশিতে প্রেরণ করেছেন। তবে সেই ফাইলগুলো শিক্ষকদের হাতে পৌঁছায়নি, ফলে কোন কাগজপত্র বৈধ বা জাল তা কেউ জানতে পারেনি।
মো. আবু হুরাইরা অভিযোগ করেন, সুপার অন্যান্য সকল শিক্ষক শিক্ষিকাদের এমপিওভুক্তি ফাইলে কি সংযুক্তি দিয়েছেন, তারাও একই ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয় কি না আশঙ্কায় আছে।যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এবং বাংলাদেশ দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ধারা ৪২০, ৪৬৮, ৪৭১ এর আওতায় গুরুতর অপরাধ। তাঁর মতে, সুপারের এসব কর্মকাণ্ড মাদ্রাসার সুষ্ঠু শিক্ষা পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।
তিনি বাংলাদেশের মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মহাপরিচালক (মাউশি), উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও), জেলা প্রশাসক এবং দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বরাবর লিখিত অভিযোগপত্র দাখিলের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন বলে প্রতিবেদকে জানান। অভিযোগে তিনি দাবি করেছেন:
সুপারের নিয়োগ ও কার্যক্রম তদন্তপূর্বক বাতিল করা হোক।
শিক্ষক-কর্মচারীদের সকল ফাইল তাঁদের হাতে হস্তান্তর করা হোক।
সুপারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে ফৌজদারি মামলা রুজু করা হোক।
মাদ্রাসার সুষ্ঠু পরিচালনার স্বার্থে ইত্যিমধ্যে এডহক কমিটি গঠিত হয়েছে এবং কমিটি সুপারকে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করেছেন এসব অবৈধ কর্মকাণ্ডের প্রাথমিক সত্যতার কারণে।
অভিযোগের সঙ্গে সংযুক্ত নথি হিসেবে রয়েছে: ২০১৪ সালের নিয়োগপত্র, ২০১৩ সালের এমপিও নীতিমালা, এমপিওভুক্তির সরকারি আদেশ, ২০১০-২০১৭ সালের ছাত্রছাত্রী রেজিস্ট্রেশন কার্ডের কপি, ভুয়া নিবন্ধন সনদ এবং বৈধ সুপারের মৃত্যুসনদপত্র সংযুক্ত করেছেন বলে সহ-সুপার আবু হুরাইরা জানান।
তিনি আরও বলেন, তিনি শিক্ষক হিসেবে এম পিও মাদ্রাসা এম পিও নীতিমালা ২০১০ এবং সংশোধিত নীতিমালা ১০১৩ অনুসারে বিধি সম্মতভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত।এলাকাবাসী জানান, সহ - সুপারের বিরুদ্ধে কোন শিক্ষক শিক্ষিকা সাবেক সভাপতি বর্তমান সভাপতি স্থানীয় অভিভাবক ছাত্রছাত্রী সহ কোন পর্যায়ের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে নাই বলেও জানান। কিন্তু কথিত ভূয়া অবৈধ নিয়োগ প্রাপ্ত সুপার কেবলমাত্র সহ- সুপারের বিরুদ্ধে কেবল মিথ্যা ভিত্তিহীন বানোয়াট একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ এবং হয়রানি রোধ করতে এসব পদক্ষেপ নিচ্ছেন বলে জানান। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করণে তিনি অবৈধ সুপারের মিথ্যা, ভিত্তিহীন,বানোয়াট অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহবান জানান।
যোগাযোগ
বার্তা বিভাগঃ 01883-306048
ই-মেইল: shadhinsurjodoy@gmail.com
© ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | স্বাধীন সূর্যোদয় | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।