মোঃ মোবারক হোসেন মহিন: দীঘিনালা(খাগড়াছড়ি)প্রতিনিধি:
পার্বত্যা অঞ্চলের অশান্তিতে দিন পার করছিলো সবচেয়ে বেশি খাগড়াছড়ি, পরিক্ষা-নিরীক্ষার পর ধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি মারমা সম্প্রদায়ের স্কুল ছাত্রীর ।
গত ২৪-সেপ্টেম্বর-বুধবার রাতে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার সিঙ্গিনালা এলাকায় উপজাতি কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছিলো।
হ্যাঁ, বলছিলাম খাগড়াছড়ির স্কুল ছাত্রী মারমা সম্প্রদায়ের সেই কিশোরীর কথা, যাকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে সাত দিন ধরে পাহাড়ে সেনা হঠাও-বাঙ্গালি হঠাও,বাঙ্গালী সেটেলার,বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম কে ভারতে অঙ্গরাজ্য করা ইত্যাদি দাবী নিয়ে স্লোগান দিচ্ছিলো উপজাতিরা।
বন্ধুকের নলে উপজাতি সন্ত্রাসীদের গুলিতে জড়ে গেল ৩-টি তাজা প্রাণ আরও কত কি উত্তেজনা বিরাজ করছিলো ।
অবরোধ, পাহাড়ি–বাঙালি সাম্প্রদায়িক সংঘাত, সেনা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা, সব মিলিয়ে পরিস্থিতি জটিল রূপ ধারণ করেছে । অথচ মেডিকেল পরীক্ষায় ধর্ষণের কোনো আলামতেই পাওয়া যায়নি ।
জেলা সদর হাসপাতালের ০৩ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড পরীক্ষার পর প্রতিবেদনে স্বাক্ষর করেন ডা. জয়া চাকমা, ডা. মীর মোশাররফ হোসেন ও ডা. নাহিদ আক্তার ।
স্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন; পরীক্ষার পর কোনো ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি ।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ছাবের বলেন; প্রতিবেদন তৈরি করে পুলিশ সুপারের কাছে জমা দেওয়া হবে ।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার সিঙ্গিনালা এলাকায় ওই কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে এবং তাতে বলা হয়; টিউশন শেষে বাড়ি ফেরার পথে তাকে চেতনানাশক প্রয়োগ করে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে দলবদ্ধভাবে নির্যাতন চালানো হয় কিশোরীকে ।
ঘটনার পরপরই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা জেলা জুড়ে, ইউপিডিএফ (মূল) কর্মীরা অবরোধ ডাকেন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিজেদের দায়িত্বপালন করতে গেলে সেনাবাহিনী'র উপর তীর ছুরে হামলা করে ।
রোববার রাতে খাগড়াছড়ি গুইমারায় ইউপিডিএফ সদস্যদের সঙ্গে গুলিবিনিময়ের ঘটনাও ঘটে ।
খাগড়াছড়িতে বিভিন্ন স্থানে আন্দোলন শুরু কৌশল করে উপজাতীয় নারীদের দলবদ্ধ ভাবে সামনে রেখে সেনাবাহিনী, বিজিবি,নিরিহ বাঙ্গালীদের উপর আক্রমণ চালাতে থাকে, সেই সূত্র ধরে কিছু কিছু জায়গায় আগুন দিয়ে বসতবাড়ি জ্বালিয়ে দেয় ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা, যা সেনাবাহিনীর উপর দায় চাপাতে চেয়েছে।
খাগড়াছড়ি'র প্রায় সকল সচেতন মানুষ বলছিলো- এসব বিগত ফ্যাসিবাদের চক্রান্ত, যা পাহাড় কে ব্যবহার করে ইউপিডিএফ কে কাজে লাগিয়ে সাধারণ উপজাতিদের আন্দোলনে অংশ নেওয়া ও বর্তমান উপদেষ্টা ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূছ কে বেকায়দায় ফেলতে এমন।
রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছিলো পাহাড়ের বীরেরা, যথেষ্ট ধৈর্যের পরীক্ষাও দিয়েছে তারা, মোকাবিলা করেছে প্রতিনিয়ত ।
পরিস্থিতি যখন বেশ ঘোলাটে হতে যাচ্ছিলো, তখন- পাহাড়ের নেতা. খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি. ওয়াদুদ ভূইয়া. সবাইকে শান্ত থেকে ধৈর্যের সাথে প্রশাসনের উপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখতেও বলেছেন ।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন; এ ঘটনার পেছনে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ও উগ্রবাদী গোষ্ঠীর ইন্ধন আছে, তারা পরিস্থিতি ঘোলাটে করে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছে ।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র গোষ্ঠীর তৎপরতা বেড়েছে ।
অভিযোগ রয়েছে; এসব গোষ্ঠীর সদস্যরা ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে প্রবেশ করছে ।
যা রটে-কিছু;না কিছু ঘটে, কিন্তু এই ধর্ষণের বেলায় উল্টো- পার্বত্য এলাকায় হঠাৎ হঠাৎ আন্দোলনের ইস্যু চলে আসে, তবে এবারের ঘটনায় আর হাসিনার মোড় নিতে পারেনি সচেতন মহল।
সাংবাদিক, শিক্ষক, রাজনীতিবীদ,আমলা সকলেই ধর্ষণের বিচার চেয়েছে কিন্তু সন্দেহের চোখে রেখেছিলো আন্দোলনের গতিবেগ দেখে, কারণটা ছিলো হাসিনা পালায়ন এবং সামনে ছিলো পূজা, হাসিনা সাম্প্রদায়িক নিয়ে বেশি খেলা করতে পছন্দ করতেন যা আমরা পৃর্বের ইতিহাস ঘাটলে দেখতে পারি।
পাহাড়ের অনেকের কাছে জানতে পেলাম; পাহাড় কে হাসিনা ডাল হিসেবে ব্যবহার করতে, যে-কোন সময় আবার গর্জে উঠতে পারে, অতএব পুণরায় সকল সেনা ক্যাম্প স্থাপনের জন্য অনুরোধ করেছেন পাহাড়ি সংশ্লিষ্টগণ ।
যোগাযোগ
বার্তা বিভাগঃ 01883-306048
ই-মেইল: shadhinsurjodoy@gmail.com
© ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | স্বাধীন সূর্যোদয় | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।