রাশেদ আলম ( বাবু) প্রতিনিধি
, থানা : চন্দ্র গঞ্জ জেলা : লক্ষীপুর।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ পশ্চিম বাজারে আদালতের স্যুমটো মামলার (Suo Moto Rule) পরও প্রকাশ্যে চলছে মুক্তিযোদ্ধা খাল ভরাটের মহোৎসব!
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ৪নং আলাইয়ারপুর ইউনিয়নের চন্দ্রগঞ্জ পশ্চিম বাজারস্থ ভবভদ্রী মৌজায় অবস্থিত বদ্ধ জলাশয়টি, স্থানীয়ভাবে ‘মুক্তিযোদ্ধা খাল’ নামে পরিচিত। বহু বছর ধরে এই খালটি এলাকার ড্রেনেজ, বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন ও বাজারের পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে।
কিন্তু সম্প্রতি দেখা গেছে- এমন একটি ভূয়া সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে খালের মধ্যে ড্রেনের ময়লা, বর্জ্য ও মাটি ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। এতে খালের পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে এবং আশপাশের এলাকাজুড়ে দুর্গন্ধ, জলাবদ্ধতা ও নোংরা পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
কে দিচ্ছে মদদ?
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলেছেন—
আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এমন কাজ করার সাহস পাচ্ছে কারা?
তাদের অভিযোগ, বাজারের কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি ও দখলবাজ চক্র ভবিষ্যতে ওই জায়গায় দোকানঘর বা স্থাপনা নির্মাণের পরিকল্পনায় খালটি ভরাট করছে।
একজন স্থানীয় ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,
বাজারের ড্রেনের পানি এই খাল দিয়েই বের হত। এখন খাল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাজারে হাঁটাচলাই কষ্টকর। প্রশাসন চুপ কেন?
প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
স্থানীয়রা জানান, প্রশাসনকে বারবার অবহিত করা হলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
ফলে দখলকারীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে। তাদের ধারণা, প্রভাবশালী কারো ছত্রছায়া না থাকলে আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে এমন অবৈধ কাজ সম্ভব নয়।
পরিবেশের জন্য বিপর্যয়
পরিবেশবিদরা বলছেন, এভাবে একটি মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতি বহনকারী জলাশয় ভরাট করা শুধু পরিবেশ নয়, ইতিহাসেরও অপমান।
এতে এলাকার পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে, বাজারে স্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থাও অচল হয়ে পড়বে।
স্থানীয়দের দাবি
অবিলম্বে মুক্তিযোদ্ধা খাল ভরাট বন্ধ ও দখলমুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও সচেতন মহল।
তাদের আহ্বান
আদালতের নির্দেশ মানুন, মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতিবাহী খাল রক্ষা করুন।
যোগাযোগ
বার্তা বিভাগঃ 01883-306048
ই-মেইল: shadhinsurjodoy@gmail.com
© ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | স্বাধীন সূর্যোদয় | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।