মোহাম্মদ মামুন উদ্দিন(অনলাইন রিপোর্টার)
নিঝুম দ্বীপের দেশ হিসেবে পরিচিত নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া। প্রতিদিন চার থেকে পাঁচ হাজার মানুষ নদী পারাপার করে সি-ট্রাক, ট্রলার ও স্পিডবোটে ভর করে। কিন্তু ভারী মালামাল ও যানবাহন পরিবহনে কোনো ফেরি না থাকায় বহু বছর ধরে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে দ্বীপবাসীর।
দীর্ঘদিনের দাবি হাতিয়ায় ফেরি সার্ভিস অবশেষে বাস্তবায়নের পথে। নলচিরা ও চেয়ারম্যান ঘাটে ফেরিঘাট নির্মাণ কাজ চলছে দ্রুতগতিতে। ঘাট এলাকায় চলছে ভরাট, সড়ক নির্মাণ ও ল্যান্ডিং স্টেশন তৈরির কাজ।
ফেরি চালু হলে বদলে যাবে জীবনযাত্রা
হাতিয়ার সাড়ে সাত লাখ মানুষের একমাত্র ভরসা ছিল নৌযান। পুরোনো সি-ট্রাকের বিকল হওয়া, প্রতিকূল আবহাওয়ায় নৌযান চলাচল বন্ধ থাকা, ট্রলারডুবির ঝুঁকি সব মিলিয়ে দুর্ভোগ যেন নিত্যসঙ্গী।
স্থানীয় বাসিন্দা মজিদ বলেন,
সি-ট্রাকে ভারী মালামাল নেয়া যায় না। সামান্য মাল নিতে গেলেও অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়। এতে খরচ বাড়ে।”
ব্যবসায়ী ইসমাইল জানান,
হাতিয়া ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি পর্যটন এলাকা। ফেরি হলে পর্যটকরা নিজেদের গাড়িতে নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারবে।”
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক সৈকত বলেন,
ট্রলার বা স্পিডবোট নিরাপদ নয়। গাড়ি নিয়ে গেলে আরও ভালোভাবে ঘোরা হতো। ফেরি হলে সেটা সম্ভব হবে।”
স্বাস্থ্যসেবা ও জরুরি পরিবহনেও বড় সুবিধা
স্থানীয় ফার্মাসিস্ট তাজুল ইসলাম বলেন,
ফেরি চালু হলে অ্যাম্বুলেন্স সরাসরি দ্বীপে আসতে পারবে। উন্নত স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া সহজ হবে।”
প্রশাসনের আশা শিগগিরই ফেরি চালু
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বলেন,
প্রতিদিন ২০ কিলোমিটার নদীপথ পাড়ি দিয়ে মানুষকে জেলা শহরে যেতে হয়। ফেরি পেলে এ অঞ্চলের যোগাযোগব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আসবে।
ব্যবসায়ীদের বহু বছরের স্বপ্ন
নলচিরা ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, শতাধিক শ্রমিক কাজ করছেন দিনরাত। ঘাটের অগ্রগতি দেখতে প্রতিদিন যান স্থানীয় ব্যবসায়ী দুলাল ব্যাপারী।
তিনি বলেন,
কখনো ভাবিনি ফেরি আসবে। এখন চোখে দেখা যাচ্ছে। ফেরি চালু হলে মালবাহী ট্রাক সরাসরি দোকানের সামনে পৌঁছাবে। খরচ কমবে, ঝুঁকি কমবে।”
যোগাযোগ
বার্তা বিভাগঃ 01883-306048
ই-মেইল: shadhinsurjodoy@gmail.com
© ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | স্বাধীন সূর্যোদয় | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।