বিশ্বনাথ প্রতিনিধি
প্রবাস মানেই দূরত্বের যন্ত্রণা, প্রিয়জনদের থেকে হাজার মাইলের ব্যবধান। কিন্তু সেই দূরত্বেও আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে মুহূর্তের জন্য কাছে আসার সুযোগ করে দিয়েছিল একটি ভিডিওকল। তবে, সেই ভিডিওকলই সিলেটের বিশ্বনাথের এক পরিবারের জন্য হয়ে রইল সারাজীবনের এক হৃদয়বি'দা'র'ক স্মৃতি!
ওমানের সালালাহ শহরে থাকা বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের নিহালের নোয়াগাঁও গ্রামের মৃ*ত আব্দুল খালিকের ছেলে পঞ্চাশোর্ধ আব্দুল মতিন শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে দেশের বাড়িতে থাকা তাঁর বৃদ্ধা মা ও স্ত্রীর সঙ্গে ভিডিওকলে কথা বলছিলেন। কথা বলতে বলতে তিনি বারবার নিজের বুকের দিকে হাত ইশারা করতে শুরু করেন। তীব্র য'ন্ত্র'ণা'য় তাঁর মুখ দিয়ে কোনো কথা বের হচ্ছিল না। এপ্রান্ত থেকে উদ্বিগ্ন স্ত্রী ও মা বুঝতে পারছিলেন, তিনি বুকে মা'রা'ত্ম'ক ব্যথা অনুভব করছেন। দূরত্বের কারণে তাঁরা কোনো সাহায্য করার উপায়ও খুঁজে পাচ্ছিলেন না।
চোখের সামনেই সেই ম'র্মা'ন্তি'ক দৃশ্য! যখন পরিবারের সদস্যরা উৎকণ্ঠা নিয়ে তাঁকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন, ঠিক তখনই, ভিডিওকলের সংযোগ রেখেই য'ন্ত্র'ণা'কাতর মতিন আকস্মিকভাবে নি'থ'র হয়ে যান। ঢলে পড়েন মৃত্যুর কোলে। চোখের সামনেই সব শেষ হয়ে যায়, আর ভিডিওকলের স্ক্রিনে ভেসে ওঠে এক চিরন্তন নীরবতা।
রবিবার দুপুরে এভাবে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মৃ*ত আব্দুল মতিনের ছেলে সাব্বির আহমদ জানান, 'আমার পিতা ওমানের সালালাহ শহরের সাদী এলাকায় থাকতেন। সেখানে কফিলের (মালিক) বিল্ডিং ও মাদ্রাসা দেখাশোনা করতেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি দুই সন্তানের জনক।'
আব্দুল মতিনের এমন মৃত্যুর ঘটনায় নিহালের নোয়াগাঁও গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। প্রবাস থেকে তাঁর মরদে*হ দ্রুত দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে বলে পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে।
যোগাযোগ
বার্তা বিভাগঃ 01883-306048
ই-মেইল: shadhinsurjodoy@gmail.com
© ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | স্বাধীন সূর্যোদয় | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।