মোহাম্মদ মামুন উদ্দিন(অনলাইন রিপোর্টার)
নোয়াখালীর উপকূলীয় উপজেলা হাতিয়ায় শীতের তীব্রতা দিন দিন বাড়ছে। ভোর ও রাতের দিকে কনকনে ঠান্ডা বাতাস আর ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে নদী ও সমুদ্রবেষ্টিত এলাকায় শীতের প্রকোপ তুলনামূলক বেশি অনুভূত হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, সকাল ৯,১০টার আগ পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলছে না। ঘন কুয়াশার কারণে নৌযান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে, বিলম্বিত হচ্ছে যাতায়াত। জেলেরা গভীর রাতে মাছ ধরতে গিয়ে তীব্র শীত ও ঠান্ডা বাতাসে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
শীতের কারণে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ, দিনমজুর, কৃষিশ্রমিক ও ছিন্নমূল পরিবারগুলো। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাবে শিশু ও বয়স্করা ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীরা জানান, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সর্দি-কাশি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
হাতিয়ার বিভিন্ন চরাঞ্চলে শীতের প্রভাব আরও বেশি। চরবাসীরা জানান, ঘরের চালা ও দেয়াল দিয়ে ঠান্ডা বাতাস ঢুকে পড়ায় রাত কাটানো কঠিন হয়ে পড়েছে। অনেক পরিবার আগুন জ্বালিয়ে বা পুরোনো কাপড় ব্যবহার করে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।
এদিকে শীত মোকাবিলায় এখনো পর্যাপ্ত সরকারি সহায়তা পৌঁছায়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়রা দ্রুত শীতবস্ত্র বিতরণসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, আগামী কয়েকদিন উপকূলীয় এলাকায় শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে। তাই শীতজনিত রোগ ও দুর্ভোগ থেকে বাঁচতে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
যোগাযোগ
বার্তা বিভাগঃ 01883-306048
ই-মেইল: shadhinsurjodoy@gmail.com
© ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | স্বাধীন সূর্যোদয় | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।