মোঃ মিলন সরকার ( কালিয়াকৈর উপজেলা প্রতিনিধি ) এশিয়া মহাদেশের মধ্যে বিভিন্ন দেশে কর্মী পাঠানোর নামে টাকা আত্মসাৎও প্রতারক চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ।

গ্রেফতার কৃত প্রতারক চক্রের এক জনের নাম, মোহাম্মদ হৃদয় রাফসানি শাহজাহান ওরফে কামরুল ইসলাম (৪২) এ সময় প্রতারক চক্রের আটক কৃত এক সদস্য এর কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে আদায়কৃত ৪২ লক্ষ ৫ হাজার টাকা।
এছাড়া আরো ৩০টি বাংলাদেশী পাসপোর্ট, ৪৫টি বেনামে নিবন্ধিত বিভিন্ন কোম্পানির সিম,৭টি বিমানের নকল টিকেট ও ৯টি বিভিন্ন মডেলের মোবাইল ফোন জব্দ করে পুলিশ।

বুধবার ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ সকাল ৭:০০ ঘটিকায় টংগী থানার খাপাড়া বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়। প্রতারক চক্র ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে উত্তরা ৯ নং সেক্টর এলাকায় শাহাজাদী এন্টারপ্রাইজ নামে দেশে বাহিরে কর্মী পাঠানোর নামে একটি প্রতিষ্ঠান চালু করে।

প্রতারক চক্রটি বিদেশ যেতে ইচ্ছুক কর্মীদের লক্ষ্য করে বিভিন্ন প্রতারণার ফাঁদ তৈরি করে। তারা অনলাইনে ইমু ও মেসেঞ্জার গ্রুপের মাধ্যমে স্বল্প ব্যয়ে বিদেশে দক্ষ কর্মী পাঠানো ও ভালো সুযোগ সুবিধা সহ চাকরির কথা বলে আকৃষ্ট করে প্রচারণা চালায়।

২ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে ভুক্তভোগ আমিরুল ইসলাম।
তাদেন অনলাইনে প্রচার-প্রচারণা দেখে তাদের সাথে যোগাযোগ করে ও তাদের কথা মতো তাদের প্রতিষ্ঠানে যায়। প্রতারক চক্র তাকে মেকানিক্যাল কর্মী হিসেবে তাইওয়ানে পাঠাবে বলে জানায়। প্রতারক চক্রকে কথা অনুযায়ী ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা তাদের প্রদান করে।

প্রতারক চক্র উত্তরা, গাজীপুর, সাভার, মিরপুর, এবং বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন পেশার কর্মী ও ভুক্তভোগী আমিরুল ইসলাম সহ আরো ১১/১২ জনকে এক সাথে দেশের বাহিরে পাঠানোর কথা বলে তাদের কাছ থেকে ২৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকা নেয় এবং তাদেরকে ভিসা ও বিমানের টিকেট প্রদান করে।

পরবর্তীতে ভুক্তভোগী জানতে পারে ভিসা ও বিমানের টিকেট গুলো নকল । এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আমিরুল ইসলাম একটি অভিযোগ করেন ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি প্রতারণার মামলা রুজু হয়।

উত্তরা পশ্চিম থানা সূত্রে আরো বেশ কিছু তথ্য পাওয়া যায়, মামলাটি তদন্ত কালে তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে টংগী থানার খাপাড়া বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।
মোঃ হৃদয় রাফসানি শাহজাহান ওরফে কামরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে । আটকের সময় কামরুলের কাছ থেকে আত্মসাৎ কৃত ২২ লক্ষ ৫ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। পরবর্তীতে আটক কৃত প্রতারকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তার স্ত্রীর কাছ থেকে ভুক্তভোগীদের নিকট থেকে আত্মসাৎ এর আরো ২০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়।

উত্তরা পশ্চিম থানার প্রতারণার মামলায় গ্রেফতারকৃত কামরুলকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। প্রতারক চক্রের আরো অন্য সদস্যদের খুব দূরত্ব গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার প্রস্তুতি চলছে।