দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে নতুন উত্তেজনার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সামরিক শক্তি বৃদ্ধি এবং প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলেছে। ভারতীয় গণমাধ্যম মানি কন্ট্রোল এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ পাকিস্তানের কাছ থেকে ৪০০ কিলোমিটার পাল্লার আবদালি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সংগ্রহ করতে চায়।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, পাকিস্তানের কাছ থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র সংগ্রহের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক শক্তি বৃদ্ধি করতে চায়। ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ইন্ডিয়ান ডিফেন্স রিসার্চ উইং (আইডিআরডব্লিউ) জানিয়েছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র বাংলাদেশের হাতে পৌঁছালে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল কার্যত ঢাকার কৌশলগত ক্ষমতার আওতায় চলে আসবে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, স্বল্প-পাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্রের উপস্থিতি ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক এবং দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা ভারসাম্যে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে পারে। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, আবদালি (হাতফ-২) নামক ক্ষেপণাস্ত্রটি একক পর্যায়ের কঠিন প্রপেলান্ট ইঞ্জিন ব্যবহার করে এবং ওজন প্রায় ১,৭৫০ কেজি। এটি স্বল্প-পাল্লার স্ট্রাইক করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
পাকিস্তানের কাছে বর্তমানে ছয়টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা রয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— আবদালি (হাতফ-২), গজনভি (হাতফ-৩), শাহিন-১/এ (হাতফ-৪), এবং স্বল্প-পাল্লার স্ট্রাইক ক্ষমতাসম্পন্ন নাসর (হাতফ-৯)। এর পাশাপাশি মাঝারি-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে রয়েছে ঘৌরি (হাতফ-৫) এবং শাহিন-২ (হাতফ-৬)।
এই ঘটনাপ্রবাহ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী উত্তেজনার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে, যা দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে অনিশ্চিত করে তুলেছে।
যোগাযোগ
বার্তা বিভাগঃ 01788-729304, 01883-306048
ই-মেইল: shadhinsurjodoy@gmail.com
কার্যালয়: ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
© ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | স্বাধীন সূর্যোদয় | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।