আশরাফুল ইসলাম(ঈশ্বরগঞ্জ প্রতিনিধি) মহা-সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করা হয়েছে। আজ সোমবার ৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বটতলা বাসস্ট্যান্ডে গ্যাস চালিত আটো ও মাহেন্দ্র গাড়ি রেখে বিক্ষোভ করে চালকরা।
প্রায় আধা ঘন্টাব্যাপি চলা ওই বিক্ষোভের কারনে সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়।
স্থানীয় সুত্র ও চালকরা জানায়, ঈশ্বরগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে থেকে নান্দাইল উপজেলার কানুরামপুর পর্যন্ত কমপক্ষে ১শ মাহেন্দ্র গাড়ি (পাওয়ার) চলাচল করে আসছে। গত আওয়ামীলীগ সরকারের সময় স্থানীয় নেতারা ওই সব বাহন থেকে প্রতিমাসে ৩ হাজার ও প্রতিদিন ২শ করে টাকা আদায় করতো। এ নিয়ে তখন প্রতিবাদ করেও কোনো কাজ হয়নি। কিন্তু গত ৫ আগষ্টের পর প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হলে ওই সড়কে সকল ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু বেশী দিন তা বহাল থাকেনি। এর মধ্যে ওই নেতারাই স্থানীয় বিএনপির নেতাদের হাত করে ফের চাঁদা আদায় শুরু করে। এতে প্রতিবাদ করলে চাঁদাবাজদের হাতে মারধরের শিকার হয় অনেক চালকরা। এদিকে গত রোববার দুপুরে বাবু নামে এক চালক নিজের পাওয়ার গাড়ি নিয়ে কানুরামপুর গেলে ২ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন রুবেল নামে একজন। দিতে অস্বীকার করায় বাবুকে মারধর করেন রুবেল। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে গতকাল সোমবার ঈশ্বরগঞ্জের বটতলা নামক স্থানে শতাধিক চালকরা একত্রিত হয়ে সড়ক অবরোধসহ বিক্ষোভ মিছিল করে চাঁদা বন্ধের দাবি জানান।
টিপু নামে এক চালক জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কে পাওয়ার গাড়ি চালান। ঈশ্বরগঞ্জের জসিম নামে এক ব্যক্তি প্রতিগাড়ি মাইসক্যা (প্রতিমাস) করার জন্য ৩ হাজার টাকা দাবি করে। না দেওয়ায় গাড়ি চালানো বন্ধের কড়া নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে নানান ধরনের হুমকী দিয়ে আসে। টিপু জানান, চাঁদা দিতে হলে যাত্রীদের কাছ থেকে বেশী ভাড়া আদায় করা হয়। এতে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রুবেল জানান, কানুরাম বাসস্ট্যান্ডে তার একটি দোকান আছে। সেখান থেকে বেশ কয়েকজন মবিল ও আনুষাঙ্গিক জিনিস নিয়ে টাকা বকেয়া রেখেছিল। ওই টাকা চাওয়া হয়। চাঁদা নয়। তাছাড়া মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
অপর দিকে আরেক অভিযুক্ত ঈশ্বরগঞ্জের জসিম জানান, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পুর্ন মিথ্যা। যদি আমার বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ প্রমান করতে পারেন তাহলে আমার যে শাস্তি হবে তা মেনে নিব।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ওবায়দুর রহমান জানান, প্রতিবাদি চালকদের বলা হয়েছে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য। এরপরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
যোগাযোগ
বার্তা বিভাগঃ 01788-729304, 01883-306048
ই-মেইল: shadhinsurjodoy@gmail.com
কার্যালয়: ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
© ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | স্বাধীন সূর্যোদয় | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।