মোঃ মেহেদী হাসান রানা ঢাকা প্রতিনিধি
স্যার, যদি কোনো দিন রিকশা বিদায় করতে পারেন, যারা ডানে বাঁয়ে না দেখেই মোচড় নেয়। যদি কোনো দিন রাস্তার উপর থেকে অবৈধ রিকশা এবং ট্যাক্সি স্ট্যান্ড বন্ধ করতে পারেন। যদি কোনো দিন গণপরিবহনের বাসগুলোকে রাস্তার উপর যেখানে সেখানে থামিয়ে যাত্রী উঠানামা বন্ধ করতে পারেন।
যদি কোনো দিন পথচারীদের রাস্তা পারাপারে সভ্য ও শিক্ষিত করতে পারেন। যদি কোনো দিন সিএনজির দুই পাশে লুকিং গ্লাস লাগানো বাধ্যতামূলক করতে পারেন, তাহলে আর গাড়িকে হর্ণ বাজাতে হবে না। তখন গাড়ির হর্ণ বাজানো নিষিদ্ধ করুন।
আর এখন করতে হলে পাইলটিং করুন গুলশান এলাকায় প্রথমে। যেখানে বাস্তবায়ন সম্ভব।
স্যার বড় কিছু কাজে হাত দিন। বুড়িগঙ্গার কালো পানিকে নীল করার ব্যবস্থা নিন।
স্যার, শুধু ঢাকার কয়েকটি সুপারশপ থেকে পলিথিন দূর হয়েছে মাত্র। এটার বাস্তবায়ন একটা বাচ্চাও করতে পারত।
সাভার ট্যানারি পল্লীর দুষিত পরিবেশ ঠিক করুন। প্রতিদিন প্রায় দুইশত মেট্রিক টন ক্রোমিয়াম বর্জ্য পাশের খোলা মাঠে ফেলা হয়। যেটা আবার রাঁতের আঁধারে গায়েব হয়ে চলে যায় সারা দেশের পোল্ট্রি আর ফিশ ফিড কারখানায়।
প্রতিদিন দুইশত মেট্রিক টন ট্যানারি বর্জ্য তৈরি হলে গত ছয় সাত বছরে প্রায় পাঁচ লাখ মেট্রিক টন ট্যানারি বর্জ্য তৈরি হয়েছিল। বিসিক বা শিল্প মন্ত্রণালয়কে জিজ্ঞাস করবেন এই পাঁচ লাখ মেট্রিক টন ট্যানারি বর্জ্য কোথায় ডাম্প করা হয়েছে, এবং সেগুলো তারা দেখাতে পারবে কিনা।
ট্যানারি পল্লীতে ক্রোমিয়াম যুক্ত ড্রাই বর্জ্য পরিশোধনের কোনো ইটিপি প্ল্যান্ট করা হয়নি আজ পর্যন্ত। গাদ বা পেস্ট পরিশোধনেরও ইটিপি প্ল্যান্ট নেই। যেটা জগতে বিরল।
শুধু লিকুইড পরিশোধনের একটা প্ল্যান্ট করা হয়েছিল ২০১৭/১৮ সালের দিকে। সেটা টাকা পয়সা মেরে খেয়ে চাইনিজ দুই নম্বরি প্ল্যান্ট করায় আর কোন কাজ করে না। সব তরল গিয়ে পড়ে পাশের নদীতে।
পরিবেশ দুষণ রোধ এবং পোল্ট্রি ও ফিশ ফিড হতে হেভিমেটাল দুষণ রোধে ট্যানারি পল্লী নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিন প্লিজ।
পৃথিবীর কোনো দেশে ড্রাই বর্জ্য এবং গাদ বা পেস্ট পরিশোধনের ইটিপি প্ল্যান্ট ছাড়া ট্যানারি শিল্পের অনুমতি নেই বা দেয়া হয় না। কোথাও পাবেন না, শুধু এই দেশ ছাড়া।