মোঃ লিমন আলী (জেলা প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জ)
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সিরাজগঞ্জ শহর শাখার উদ্যোগে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ১৪৮ তম শহীদ মুক্তার হোসেন ও ১৪৯ তম শহীদ রুহুল আমিনের ১২ তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করে সিরাজগঞ্জ শহর শাখার। আজ শুক্রবার (২৭ ই ফেব্রুয়ারি) বিকেল পাঁচটায় সময় সিরাজগঞ্জ জেলা শিয়ালকোল ইউনিয়নের চন্ডদাসগাতি গ্ৰামের উত্তর পাড়া জামে মসজিদ অনুষ্ঠিত হয়।
মোঃ রাশিদুল ইসলাম বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সিরাজগঞ্জ শহর শাখার সাবেক শিবিরের সভাপতি । পরিচালক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সিরাজগঞ্জ শহর শাখার সভাপতি মোঃ শামীম রেজা। তিনি বলেন দীর্ঘ পনেরো বছর ২৮ ই ফেব্রুয়ারি আলোচনা সভা করা হয়েছিল তবে এই ভাবে প্রকাশে করতে পারি নাই জালিম শাসকের কারণে। কেন জীবন দিয়েছিলেন শহীদ মুক্তার এবং রুহুল আমিন। ইসলাম জন্য জীবন দিয়েছিল তাই এই ভাইরেরা শহীদ। শহীদ রা মিত নয় তাঁরা হলো জীবিত। যখন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় দেওয়া হয় তখন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সারাদেশে হরতাল এবং অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে তখন শহীদ হয়েছিল বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ১৪৮ তম শহীদ মুক্তার ও ১৪৯ তম শহীদ রুহুল আমিন। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা শিয়ালকোল ইউনিয়ন চন্ডদাসগাতি বাজারে পুলিশের গুলিতে নিহত হোন ।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সিরাজগঞ্জ শহর শাখার সিরাজগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শাখার সভাপতি মোঃ হাবিবুল্লাহ। তিনি বলেন শহীদরা আমাদের আলোর বাতিঘর। তাদের রেখে যাওয়া কাজ গুলো কলতে পারে এবং সিরাজগঞ্জ সহ সারাদেশে ইসলামের দেশ করবো ইনশাআল্লাহ।
আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সিরাজগঞ্জ শহর শাখার পূর্ব শাখার সভাপতি তোহা ইসলাম সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি জানাব নাজমুল হোসেন । সিরাজগঞ্জ শহর শাখার আইন সম্পাদক মোঃ তাজ উদ্দিন। সিরাজগঞ্জ শহর শাখার তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক নাজমুল হোসেন। এই সময়ে কথা বলেন ১৪৯ তম শহীদ রুহুল আমিন এর এর বাবা আবদুল জলিল। ১৪৮ তম শহীদ মুক্তার হোসেন এর বাবা মোঃ আলমগীর হোসেন।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলা সভাপতি ও সিরাজগঞ্জ জামায়াতের মসলিসুর সূরা সদস্য এবং সলংগা থানার সভাপতি জনাব মোঃ রাশিদুল ইসলাম তিনি বলেন ২০১৩ সালের কোরআন এর পাখি আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় ১১:৪৭ মিনিটে খবর আসলো সাইদির সাহেবের ফাঁসি ঘটনা শুনে সবাই প্রস্তুতে নেই। তিনি আরো বলেন তত্কালীন পুলিশের এসপির নিজঅর্থেনে চন্ডদাসগাতি বাজার থেকে গ্ৰামের ভিতরে রাস্তা তৈরি করছিল পুলিশের গাড়ি ঢুকে চন্ডদাসগাতি গ্ৰাম ঢহল দিতে। হাজারো শহিদের রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আসলে প্রকিত স্বাধীনতা কেউ পাইনি তাই আমরা আজকে থেকে শহীদদের রক্তের বদলা নিতে আমাদের সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন সিরাজগঞ্জ শহর শাখার শিবিরের সভাপতি শামীম রেজা কে অনুরোধ করেন এই চন্ডদাসগাতি বাজারে একটা পাঠাগার করতে। যে পাঠাগার থেকে সবাই জানতে পারে এবং ওখানে শিবির এবং জামায়াতের অফিস করা হবে ।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের মসলিসুর সূরা সদস্য শাহাদত হোসেন। তিনি বলেন নতুন স্বাধীনতা আমাদের রক্ষা করতে হবে। ২০১৩ ২৮ ফেব্রুয়ারি সিরাজগঞ্জ থেকে শহীদ সংখ্যা শুরু হয়েছিলো সেদিন প্রায় ২০০ শহীদ হয়েছিলেন। তিনি বলেন যারা ইসলামের জন্য মারা যায় তারা মিত হয় না তাদের শহীদ বলে । তখন সকাল নয়টার দিকে খাবার খাচ্ছিলেন সবাই তখন তাঁরা খবর পাই চারপাশে মারামারি শুরু হয়েছে তখন তারা খাবার না খেয়ে চলে যায় কিছুক্ষণ পর আমরা শুনতে পাই দুই জন শহীদ হয়েছেন কিন্তু কে কে শহীদ হয়েছিল আমরা কেউ জানতাম না। একই দিনে রাত্রে পুলিশ হামলা করে তাঁরা। পরে তাদের নানা জটিলতায় মধ্যে দিয়ে দাফন সম্পন্ন করা হয় ।