মোঃ শফিকুল ইসলাম বান্দরবান প্রতিনিধিঃ
অতিবৃষ্টির কারণে বান্দরবান-সুয়ালক-লামা বাইপাস সড়কে গত শুক্রবার (৩০ মে) থেকে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। শনিবার (৩১ মে) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টংকাবতী ইউনিয়নের হেডম্যান পাড়া এলাকায় সড়কের তিনটি স্থানে বড় ধরনের ভাঙনের কারণে সড়কটি সম্পূর্ণ অচল হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, দুই বছর আগে কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটি কার্পেটিং করা হলেও এর পর থেকে আর কোনো সংস্কার হয়নি। ফলে প্রতি বর্ষায় পাহাড়ি ঢলে ভেঙে যাচ্ছে সড়কের বিভিন্ন অংশ। বর্তমানে সড়কটি যেন একটি মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে ছোট-বড় যানবাহন চলাচল করছে। তবে এবার পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়েছে যে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে।
টংকাবতী ইউনিয়নের পূর্ণবাসন ত্রিপুরা পাড়ার বাসিন্দা হেবল ত্রিপুরা বলেন, “দুই বছর আগে কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটি পাকা করা হলেও আজ তা বেহাল। সংশ্লিষ্টদের জানিয়েও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”
একই কথা জানান স্থানীয় বাসিন্দা তঙ্গয়ে ম্রো ও ট্রাকচালক জসিম। তারা জানান, “বৃষ্টি হলেই সড়কের মাটি ধসে পড়ে, গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে অতি বৃষ্টির কারণে সড়কের দু’পাশ ধসে পড়ায় শুক্রবার থেকে গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে।”
টংকাবতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মায়াং ম্রো প্রদীপ বলেন, “গত বছর থেকেই সড়কটি ধসে পড়ছে, এলজিইডিকে জানালেও কোনো কাজ হয়নি। এবার বর্ষার শুরুতেই যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।” সড়কটি সংস্কার করে দ্রুত যানচলাচলের ব্যবস্থা করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এ বিষয়ে এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী পারভেজ সরোয়ার হোসেন বলেন, সুয়ালক -লামা সড়কের টংকাবতী ইউনিয়নের হেডম্যান পাড়ার সড়কের তিনটি জায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছে উপজেলা প্রকৌশলীকে সরেজমিনে পরিদর্শন করে বাজেট প্রনয়ন করার জন্য বলা হয়েছে। দুয়েকদিনের মধ্যে জরুরী রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হিসেবে প্রধান কার্যালয়ে বরাদ্দ চেয়ে দ্রুত বাজেট পাওয়ার আবেদন করা হবে । আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন বড় ধরনের বরাদ্ধ পেলে সড়কের দুইধারে রিটার্নিং ওয়াল নির্মান করা হলে স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধ করা যাবে।