মোহাম্মদ মামুন উদ্দিন (অনলাইন রিপোর্টার)
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার বুড়িরচর ইউনিয়নে কোস্টগার্ড ও পুলিশের যৌথ অভিযানে নারীসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী, দুইজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও এক নারী সহযোগী। অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র, অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম, চেতনানাশক ওষুধ ও বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টায় হাতিয়া কোস্টগার্ড কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন অর রশীদ।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার দিবাগত রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত বুড়িরচরের দুর্গম এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে গ্রেপ্তার হন—দস্যু শামীম বাহিনীর দুই সক্রিয় সদস্য সোহেল (২৩) ও সুমন উদ্দিন (৩৫), নারী সহযোগী পারুল বেগম (৩২), এবং ওছখালীর লক্ষীদিয়া এলাকার চোরাই স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রিয়া জুয়েলার্সের মালিক উজ্জ্বল বণিক (৪২)।
অভিযান চলাকালে উদ্ধার করা হয় ৫টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, অস্ত্র তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি, দুই বোতল চেতনানাশক ওষুধ, ২২ ভরি ১২ আনা ৪ রতি স্বর্ণালংকার এবং ১০ ভরি ১৩ আনা রূপার অলংকার।
পরে আটক ব্যক্তিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোনাদিয়া ইউনিয়নের মাইজদী বাজারে অবস্থিত প্রিয়া জুয়েলার্স থেকে অতীতে ডাকাতির মাধ্যমে সংগৃহীত আরও ২০ ভরি ৪ রতি ৮ পয়েন্ট স্বর্ণ জব্দ করা হয়।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন অর রশীদ বলেন,
“দেশের উপকূলীয় ও নদীতীরবর্তী অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোস্টগার্ড ২৪ ঘণ্টা টহল জারি রেখেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
এই অভিযান শুধুমাত্র একটি ডাকাত দলের বিরুদ্ধে নয়, এটি প্রমাণ করে যে, চোরাই স্বর্ণ ব্যবসায় জড়িতদের বিরুদ্ধেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখন কঠোর অবস্থানে রয়েছে।