নিজস্ব প্রতিবেদক মাহফুজুর রহমান
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ছাত্রলীগের ব্যর্থতা ঢাকতেই ছাত্রদল নেতা ইমরান হাসান ইমনকে ‘বিচারবহির্ভূত’ভাবে বহিষ্কারের অভিযোগ তুলেছেন বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এই সিদ্ধান্ত ছাত্রলীগকে পুনর্বাসনের পথ সুগম করতে নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৬ জুলাই) বাংলা বিভাগের একাধিক বর্ষের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত আবেদন দাখিল করেন। তারা অভিযোগ করেন, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে ঘটে যাওয়া ঘটনার ভিডিও ফুটেজে কোথাও ইমনকে হামলায় অংশ নিতে দেখা যায়নি। বরং তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছিলেন। তা সত্ত্বেও ইমনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া প্রমাণ করে, তদন্ত প্রক্রিয়া ছিল পক্ষপাতদুষ্ট এবং পূর্বনির্ধারিত।
আবেদনে বলা হয়, “ইমনকে বহিষ্কার মানেই নিরপেক্ষতা বিসর্জন দিয়ে নির্দোষ একজন শিক্ষার্থীর উপর অন্যায় চাপিয়ে দেওয়া।” তারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান এবং প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনার আহ্বান জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, “ইমনের বিষয়ে শিক্ষার্থীরা লিখিতভাবে আবেদন করেছেন। বিষয়টি তদন্ত কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। সিদ্ধান্ত তারা নেবেন।”
এদিকে বাংলা বিভাগের ১৫তম থেকে ২০তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এক যৌথ বিবৃতিতে জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেন রাজনৈতিক চাপের কাছে নতিস্বীকার না করে। তারা অভিযোগ করেন, ছাত্রদলের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়ে ছাত্রলীগকে পুনরায় সক্রিয় করার অপচেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, ১৫ জুলাই গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের তিন নেতা ও দুই শিক্ষকের ওপর হামলার অভিযোগে ছাত্রদল নেতা ইমনসহ ছয় শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে ইমনের বিরুদ্ধে সরাসরি সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ না থাকায়, শিক্ষার্থীরা এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানাচ্ছেন।