1. lukmanmiah2619@gmail.com : news_shadhin :
  2. shadhinsurjodoy@gmail.com : স্বাধীন সূর্যোদয় : স্বাধীন সূর্যোদয়
  3. info@www.shadhinsurjodoy.com : স্বাধীন সূর্যোদয় :
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ০৩:২৬ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি:
স্বাধীন সূর্যোদয় অনলাইন পত্রিকায় আপনাকে স্বাগতম। সারাদেশে জেলা ও  উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহী হলে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করুন। হোয়াটসঅ্যাপ: ০১৮৮৩-৩০৬০৪৮

আজ সাঈদ স্মরণে ‘জুলাই শহীদ দিবস’ – একটি গৌরবময় ত্যাগের দিন

প্রতিবেদকের নাম :
  • প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫

মোঃ সাজেদুর রহমান, স্টাফ রিপোর্টার (নওগাঁ)


১৬ জুলাই বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও আবেগঘন দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে উঠেছে। এই দিনটিকে ‘জুলাই শহীদ দিবস’ হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে শহীদ আবু সাঈদের স্মরণে। তার রক্তাক্ত আত্মত্যাগ শুধু একক কোনো শিক্ষার্থীর নয়, বরং এটি ছিল একটি আন্দোলনের প্রতীক – বৈষম্য, নিপীড়ন ও কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে জনগণের গর্জে ওঠার শুরু।শহীদ আবু সাঈদ ছিলেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের মেধাবী ছাত্র। তিনি ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সক্রিয় সংগঠক এবং নতুন প্রজন্মের মধ্যে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহসী অনুপ্রেরণা। তিনি নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন এবং সমাজে সমতা, ন্যায্যতা ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখতেন।
২০২৪ সালের ১৬ জুলাই, একটি শান্তিপূর্ণ ছাত্রসমাবেশে পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদ শহীদ হন। তার মৃত্যু মুহূর্তেই দেশজুড়ে আলোড়ন তোলে এবং এই ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এক বিশাল গণআন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে।আবু সাঈদের শহীদ হওয়ার পর শুরু হয় অব্যাহত গণআন্দোলন। রংপুর থেকে ছড়িয়ে পড়ে ঢাকাসহ দেশের সর্বত্র। আন্দোলনের মুখে সরকার বিপর্যস্ত হয় এবং এক পর্যায়ে ৫ আগস্ট গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই প্রেক্ষাপটেই ১৬ জুলাইকে ‘জুলাই শহীদ দিবস’, ৫ আগস্টকে ‘গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ এবং ৮ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।বর্তমান সরকার ১৬ জুলাইকে ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত জাতীয় দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে শহীদ সাঈদের পরিবার ও সমর্থকদের দাবি, দিনটি শুধুমাত্র ‘জুলাই শহীদ দিবস’ নামে নয়, বরং ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হোক, যাতে তার নাম চিরস্মরণীয় হয়। এই দাবির পেছনে রয়েছে একটিই যুক্তি—এই আন্দোলনের শুরু হয়েছিল সাঈদের রক্তের বিনিময়ে।প্রতিবছর এই দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে আয়োজিত হয় আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল, মশাল মিছিল এবং শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ। বিশেষভাবে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ সাঈদকে স্মরণ করে নানা আয়োজন হয়। শিক্ষার্থীরা তার আদর্শকে বুকে ধারণ করে শপথ নেয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাঁড়ানোর।
১৬ জুলাই শুধু একটি দিন নয়, এটি একটি চেতনার নাম। এটি স্মরণ করিয়ে দেয় যে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে একজন তরুণের বলিদান কীভাবে জাতিকে বদলে দিতে পারে। শহীদ আবু সাঈদের আত্মত্যাগ আজও কোটি মানুষের হৃদয়ে অনুপ্রেরণা হয়ে আছে। আমরা চাই, তার স্মৃতিকে সম্মান জানিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ ঘোষিত হোক এবং তার স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ বাস্তবায়িত হোক।

“সাঈদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না – বৈষম্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে জিতবই ইনশাআল্লাহ!”

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  

[bangla_date]

© ২০২৪-২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | স্বাধীন সূর্যোদয় | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট