মোহাম্মদ মামুন( অনলাইন রিপোর্টার)
বিশিষ্ট ভাস্কর ও শিল্পী হামিদুজ্জামান খান আর নেই। আজ রোববার (২০ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি… রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
মরহুমের প্রতি সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আজ দুপুর আড়াইটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে তার মরদেহ রাখা হবে। এরপর বাদ আসর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
১৯৪৬ সালের ১৬ মার্চ কিশোরগঞ্জ জেলার সহশ্রাম গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন হামিদুজ্জামান খান। ১৯৬৭ সালে তৎকালীন বাংলাদেশ কলেজ অব আর্টস অ্যান্ড ক্রাফটস (বর্তমানে চারুকলা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীতে ১৯৭০ সালে তিনি একই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০১২ সাল পর্যন্ত সেখানেই কর্মরত ছিলেন।
হামিদুজ্জামান খান ছিলেন বাংলাদেশের আধুনিক ভাস্কর্য আন্দোলনের পথিকৃৎ। ফর্ম, বিষয়ভিত্তিক ভাবনা এবং নিরীক্ষাধর্মী নকশার জন্য তার কাজ সর্বমহলে সমাদৃত। তার সৃষ্টি উল্লেখযোগ্য ভাস্কর্যের মধ্যে রয়েছে—আশুগঞ্জ সার কারখানার ‘জাগ্রত বাংলা’, সিলেট ক্যান্টনমেন্টের ‘হামলা’, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সংশপ্তক’, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের ‘শান্তির পায়রা’, ঢাকা সেনানিবাসের ‘বিজয় কেতন’ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ইউনিটি’।
শিল্পকলায় বিশেষ অবদানের জন্য হামিদুজ্জামান খান ২০০৬ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন। এছাড়াও ২০২২ সালে তিনি বাংলা একাডেমির সম্মানজনক ফেলোশিপ লাভ করেন।
তার মৃত্যুতে বাংলাদেশের শিল্প ও সংস্কৃতি জগতে এক অপূরণীয় শূন্যতার সৃষ্টি হলো। বিশিষ্ট এই গুণীজনের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছে শিল্প-সাহিত্যপ্রেমী মহল।