1. lukmanmiah2619@gmail.com : news_shadhin :
  2. shadhinsurjodoy@gmail.com : স্বাধীন সূর্যোদয় : স্বাধীন সূর্যোদয়
  3. info@www.shadhinsurjodoy.com : স্বাধীন সূর্যোদয় :
মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:৪৮ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি:
স্বাধীন সূর্যোদয় অনলাইন পত্রিকায় আপনাকে স্বাগতম। সারাদেশে জেলা ও  উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহী হলে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করুন। হোয়াটসঅ্যাপ: ০১৮৮৩-৩০৬০৪৮

দোয়ারাবাজারে বিয়ের প্রলোভনে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ

প্রতিবেদকের নাম :
  • প্রকাশিত: শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৫

 

এস ডব্লিউ সাগর ( তালুকদার ) দোয়ারাবাজার ( সুনামগঞ্জ)

দোয়ারাবাজারে অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের এক স্কুলছাত্রীকে (১৩) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে রোহান আহমদ নামে স্থানীয় এক মোটরসাইকেল চালক। উপজেলার বোগলাবাজার ইউনিয়নের গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ধর্ষক রোহান আহমদ (১৫) বোগলা গ্রামের মো. আলী হোসেনের ছেলে। অন্তঃসত্ত্বা স্কুল শিক্ষার্থী ওই এলাকার একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।

ওই কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, আনুমানিক ছয় মাসের অন্তসত্ত্বা ওই শিক্ষার্থী চলতি আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে স্কুলে গিয়ে অসুস্থতা অনুভব করলে তার অসুস্থতার বিষয়টি এক স্কুল শিক্ষিকার নজরে আসে। ওই শিক্ষিকা তাকে বিশ্রাম ও চিকিৎসা নিতে ছুটি দেন। পরে তার শারীরিক পরিবর্তনের ফলে তার পরিবার বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নেওয়ার একপর্যায়ে জানতে পারেন সে ৬—৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পরে স্থানীয়দের মাঝে বিষয়টি জানাজানি হয়, মেয়েটি লোক লজ্জ্বায় বের হতো না।

শুক্রবার অন্তঃসত্ত্বা ওই স্কুল শিক্ষার্থী। স্কুল শিক্ষার্থী (১৩) জানায়, তার সাথে দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিলো ভোগলা গ্রামের আলী হোসেনের পুত্র রোহান মিয়ার (১৫)। সে যখন স্কুলে আসা—যাওয়া করতো তখন রাস্তায় দেখা হতো দুইজনের। মাঝে মধ্যে রোহানের মোটরসাইকেলে চড়েও স্কুলে যেতো সে এছাড়াও মাঝে মধ্যে মেয়েটির বাড়িতে কেউ না থাকলে ফাঁকা ঘরে আসতো রোহান। মেয়ের দিনমজুর পিতা—মাতা জীবিকা নির্বাহে স্থানীয় বোগলাবাজারে প্রতিদিন ডিম বিক্রি করে। এই সুযোগে একদিন সন্ধ্যায় মেয়ের বাড়িতে এসে রোহান শারীরিক মিলন করে। কয়েকমাস পরে যখন মেয়েটির শারীরিক পরিবর্তন ঘটে ও অসুস্থতা দেখা দেয়। মেয়েটি রোহানকে বিষয়টি জানালে রোহান হুমকি দিয়ে বলে যে এটা এমনি এমনিতেই সমাধান হবে, এর আগে এই বিষয়ে কাউকে যেনো না বলে। যদি কাউকে বলে তাহলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলবে।

মেয়েটির পিতা—মাতা জানান, তারা গরিব, অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষ। ইজ্জতের ভয় আর সুষ্ঠু বিচার না পাওয়ার শঙ্কায় বিষয়টি গোপন রেখেছেন। কিন্তু যতই দিন যাচ্ছে, ততই মেয়েটির শারীরিক অসুস্থতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সাংবাদিকদের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান।

অভিযোগ সম্পর্ক জানতে চাইলে অভিযুক্ত রোহান ও তার পিতা আলী হোসেন বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট, তারা এবিষয়ে কিছুই জানেন না।

দোয়ারাবাজার থানার ওসি জাহিদুল হক জানান, বিষয়টি শনিবার তিনি শুনেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

[bangla_date]

© ২০২৪-২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | স্বাধীন সূর্যোদয় | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট