ঢাকা মহানগরীতে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। নগরবাসীর নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন ঈদ উদযাপন নিশ্চিত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং কিছু নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ডিএমপি জানিয়েছে, বাসাবাড়ি, প্রতিষ্ঠান ও বিপণিবিতানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাড়তি পুলিশি টহল, নজরদারি ব্যবস্থা ও ‘অক্সিলিয়ারি ফোর্স’ নিয়োগ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে পুলিশের পাশাপাশি নাগরিকদেরও সচেতন থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
নিরাপত্তার স্বার্থে নগরবাসীকে যেসব নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হয়েছে:
১. বাসাবাড়ি, অফিস ও বিপণিবিতানের নিরাপত্তা রক্ষীদের দায়িত্ব আরও কঠোর করতে হবে এবং ২৪ ঘণ্টা নজরদারি রাখতে হবে।
২. বাড়ি বা প্রতিষ্ঠান ছাড়ার আগে দরজা-জানালা শক্তভাবে তালাবদ্ধ করতে হবে এবং প্রয়োজনে অতিরিক্ত তালা ব্যবহার করা যেতে পারে।
৩. নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও সেগুলো সচল রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে।
৪. বাসার প্রধান দরজায় অটোলক ও নিরাপত্তা অ্যালার্মযুক্ত তালা ব্যবহার করা যেতে পারে।
৫. রাতে বাড়ি ও অফিসের আশপাশ পর্যাপ্ত আলো দিয়ে আলোকিত রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
৬. অর্থ, মূল্যবান জিনিস ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিরাপদ স্থানে সংরক্ষণ করা উচিত, প্রয়োজনে ব্যাংক লকার ব্যবহার করা যেতে পারে।
৭. বাড়ি ছাড়ার আগে পাশের ফ্ল্যাট বা প্রতিবেশীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের জানাতে হবে, যাতে তারা প্রয়োজনে নজর রাখতে পারেন।
৮. ভাড়াটিয়াদের ঈদের ছুটিতে বাসা ছাড়ার আগে বাড়ির মালিককে জানানো উচিত।
৯. অনুমতি ছাড়া কেউ যেন বাড়ি বা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য নিরাপত্তাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে।
১০. বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে।
১১. বাড়ির গাড়ির গ্যারেজ সুরক্ষিত রাখতে হবে।
১২. জানালা বা দরজার পাশে এমন কোনো গাছ থাকলে তা ছেঁটে ফেলতে হবে, যাতে কেউ গাছে চড়ে বাড়িতে প্রবেশ করতে না পারে।
১৩. এলাকায় সন্দেহজনক কাউকে দেখলে দ্রুত নিকটস্থ পুলিশ ফাঁড়ি বা থানাকে জানাতে হবে।
১৪. কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানাতে হবে।
জরুরি প্রয়োজনে সহায়তার জন্য ডিএমপি কন্ট্রোল রুমের নম্বর ০১৩২০-০৩৭৮৪৫, ০১৩২০-০৩৭৮৪৬, ২২৩৩৮১১৮৮, ০২৪৭১১৯৯৮৮, ০২৯৬১৯৯৯৯ এবং জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এই নির্দেশনাগুলো মেনে চললে নগরবাসীর ঈদ উদযাপন আরও নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ হবে।