1. lukmanmiah2619@gmail.com : news_shadhin :
  2. shadhinsurjodoy@gmail.com : স্বাধীন সূর্যোদয় : স্বাধীন সূর্যোদয়
  3. info@www.shadhinsurjodoy.com : স্বাধীন সূর্যোদয় :
শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪৩ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি:
স্বাধীন সূর্যোদয় অনলাইন পত্রিকায় আপনাকে স্বাগতম। সারাদেশে জেলা ও  উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহী হলে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করুন। হোয়াটসঅ্যাপ: ০১৮৮৩-৩০৬০৪৮

ত্যাগীদের মূল্যায়নে কোন তামাশা হলে মেনে নেবেনা তৃণমূল; দায় নিতে হবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে!

প্রতিবেদকের নাম :
  • প্রকাশিত: শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫

মোঃ হাসানুর জামান বাবু।


ত্যাগীদের মূল্যায়ন – বড় তামাশা; বড় দায়! বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রাণ হচ্ছে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কারণে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল আজ গণমানুষের দলে পরিণত হয়েছে।বিএনপির রাজনৈতিক ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে অনেক নেতা দ্বিধান্বিত হয়েছেন, অনেক নেতা ভুল করেছেন, অনেক নেতা দল ত্যাগ করে চলে গেছেন, কিন্তু কর্মীরা কখনো দ্বিধান্বিত হয়নি, কর্মীরা সবসময় ঐক্যবদ্ধ ছিল, কর্মীরাই দলকে টিকিয়ে রেখেছে।

 

২০০৭ সালে যখন দলের চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয় তখন অনেক নেতা দ্বিধান্বিত ছিলেন, অনেক নেতা ভিন্ন সুরে কথা বলেছেন, অনেক নেতা আপোষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কিন্তু তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ ছিল বিধায় তাদের আন্দোলনে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি লাভ করেছিলেন এবং দেশে গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘ সতেরো বছর বাহিরে কারাগারে হাসপাতালে ভর্তি থেকেও আপোষহীন ভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করেছিলেন বিধায় সতেরো বছর পারে হলেও দেশ ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে এবং মানুষ স্বাধীন ভাবে দেশে কথা বলার চলাফেরা করার সুযোগ পেয়েছে।

 

তৃণমূল নেতাকর্মীদের অভিযোগ,দেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে সামনে জাতীয় নির্বাচন দল এখনো ক্ষমতায় আসেনি,দল ক্ষমতায় আসার আগে গত ০৫ আগস্টের পর থেকে দলের প্রতিটি নেতার চারপাশে সুবিধাবাদী সুযোগ সন্ধানীরা ঘিরে রেখেছেন নেতা নেতৃত্ব এবং দলের বিভিন্ন প্রোগ্রাম। ফলে এতোদিনের ত্যাগের মূল্যায়ন পাচ্ছেন না দুর্দিনের নেতাকর্মীরা । অন্যদিকে দলে সুবিধাবাদীদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে দিনের পর দিন । সারা দেশে দলের একটি বড় অংশ বঞ্চিত। দলের অনেক সাবেক জেলা সভাপতি সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান কমিটির আহ্বায়ক সচিব,সাবেক মন্ত্রী-এমপির ব্যক্তিগত বলয়ের কারণে তারা বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। সারাদেশে জনবিচ্ছিন্ন নেতা ও বলয় তৈরি করে রাজনীতি করা সাবেক নেতা,সাবেক প্রভাবশালী এমপি-মন্ত্রীদের দাপটে বিএনপি যুবদল ছাত্রদল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের তৃণমূল নেতাকর্মীরা বেদখল হতে চলেছে,হয়ে পড়ছে অভিভাবকহীন এতিমের মতো।কারণ নেতারা নিজের বলয়ের পাল্লা ভারী করতে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের দোসর দালালদের সাথে সাথে রাখছেন তবুও ত্যাগীদের মূল্যায়ন করতে আগ্রহী নয়।গত সতেরো বছর ঐসব সুবিধাবাদী ফ্যাসিস্ট পতিত স্বৈরাচারের দোসর অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা ইনকাম করে জমা রেখেছে তাদের পাশে রাখলে নেতারা লাভবান হচ্ছে। আর নিজ দলের ত্যাগীরা তো গত সতেরো বছর ঠিক মতো বস্ত্র অন্ন বাসস্থান চিকিৎসা খরচ কোনটাই ঠিক মতো চালানোর সামর্থ্য ছিলো না এখনো নেই। সেই কারণে নেতা নিজ দলের ত্যাগী নেতাদের সাথে রেখে নিজের বোঝা বাড়াতে নারাজ।

 

আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর থেকে চট্টগ্রামে অনেক জায়গায় ক্ষমতাবান নেতারা ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে বলয়ের রাজনীতি শুরু করে ত্যাগী ও দুর্দিনের নেতাদের অবমূল্যায়ন করা শুরু করে দিয়েছেন। বিভিন্ন অঞ্চলে বলয়ের রাজনীতি ভেঙে দিয়ে ঐক্যের রাজনীতি শুরু করতে এবং ত্যাগী নেতাদের ক্ষোভ-মান ভাঙাতে কেন্দ্রের এখনই উদ্যোগ নিতে হবে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে তাই শুধু জেলায়ই নয়, উপজেলায় ইউনিয়নে নেতা বানানো বা জনপ্রতিনিধি বানানোর ক্ষেত্রে ওই এলাকার প্রভাবশালীদের গুরুত্ব কমিয়ে দিতে হবে। কারণ প্রভাবশালীদের হাতে নেতা নির্বাচন ও জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করার সুযোগ দিলে সারা দেশে বৈষম্য তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি এবং ত্যাগীরা বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। কেননা প্রভাবশালীরা বর্তমানের মতো নিজের বলয়ের পাল্লা ভারী করতে অশিক্ষিত মূর্খ অপদার্থ জানোয়ার সুবিধাবাদী সুযোগ সন্ধানীদের এবং স্বৈরাচারের দোসর দালালদের গুরুত্বপূর্ণ পদপদবীতে বসিয়ে দিতে চিন্তা ভাবনা করবেননা।

 

কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত সংগঠনের অভ্যন্তরে সুবিধাবাদী নেতাদের আধিপত্য বেড়ে গেছে। আর এই সুযোগ তৈরি হয়েছে ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমতাবান হওয়ার মনোবাসনা থেকে। ফলে সংগঠন দুর্বল হচ্ছে যতোই সময় বাড়ছে। পারিবারিক উত্তরাধিকারী হলেই অনেক সময় রাজনীতিতে সম্পৃক্ততা না থাকার পরও সাবেক প্রয়াত মন্ত্রী, এমপির পরিবারের সদস্যদের মনোনয়ন দেওয়া হয়। কিন্তু উত্তরাধিকারীদের আগে দলীয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়া উচিত। ধীরে ধীরে তারা অভিজ্ঞ হয়ে উঠবে। এরপর তাদের মনোনয়নের জন্য বিবেচনা করা যেতে পারে।

 

বস্তুত উত্তরাধিকারীদের দলীয় রাজনীতির জন্য প্রস্তুত করতে হবে। হুট করে এসেই পুরনো নেতাদের বাদ দিয়ে মনোনয়ন পেয়ে যাওয়া, এ বিষয়টি ঠিক নয়। আগে দলের সঙ্গে যুক্ত হোক, রাজনীতি করুক, বুঝুক, এরপর তাদের মূল্যায়ন করা হোক। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আগে কিছুটা স্ট্রাগল করুক। অবস্হাদৃষ্টে মনে হচ্ছে আগামী জাতীয় নির্বাচন হওয়া তো অনেক কঠিন হতে পারে। কিন্তু এখন ফাঁকা মাঠ পেয়ে অনেকে নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে যারা বিগত পতিত স্বৈরাচারী হাসিনা পতন আন্দোলন সংগ্রামে ছিলো না এমন অনেকে ইতিমধ্যে কেন্দ্রের আশীর্বাদে বড় বড়ো নেতা হয়ে যাচ্ছেন। দলের সাথে সম্পৃক্ততা না থাকলেও নেতার সাথে থেকে নেতার জোরে নেতা হয়ে যাচ্ছে।এই প্রবণতা বেড়েছে অনেক। এটা বন্ধ করে মেধা বিচক্ষণতা মামলা হামলার শিকার হয়েছে এমন ত্যাগী নেতাদের দায়িত্বে আনতে হবে। নাহয় এতে করে দীর্ঘমেয়াদে সংগঠনের ক্ষতি হচ্ছে এবং হবে। নতুন প্রজন্ম দেশের সর্ব বৃহৎ দল হিসেবে বিএনপির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলবে এই বিশৃঙ্খলা দেখলে।

 

তৃণমূলের কর্মীরাই সংগঠনের মূল চালিকাশক্তি।বিএনপি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক জনাব তারেক রহমান এর হাতকে শক্তিশালী করার জন্য মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করা প্রয়োজন। অভ্যন্তরীণ কোন্দল, আধিপত্য বিস্তার ও সুযোগ সন্ধানীদের তৎপরতাসহ নানামুখী সমস্যায় জড়িয়ে পড়েছে তৃণমূল বর্তমানে বিএনপি যুবদল ছাত্রদল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদরা।

 

গত ১৭ বছর ধরে দলে একদিকে ‘বঞ্চনার শিকার’ অন্যদিকে আওয়ামী লীগের মামলা নির্যাতন হামলার হয়রানির শিকার তৃণমূলের ত্যাগী নেতাদের এবার মূল্যায়নের সময় এসেছে। দলের সব পর্যায়ে ত্যাগী, সৎ, কর্মীবান্ধব নেতাকর্মীদের গুরুত্ব দেওয়া উচিত। পাশাপাশি হাইব্রিড, সুযোগসন্ধানী ও দুর্নীতিবাজদের দল থেকে বাদ দেওয়া হোক। উড়ে এসে জুড়ে বসাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদের ব্যাপারেও কঠোর অবস্থান নেওয়া হোক। সংগঠনের সর্বস্তরে ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা হোক।

 

‘১৯৯১ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল( বিএনপি) ক্ষমতায় আসার আগে যারা জাতীয় পার্টি আমলে স্বৈরাচার এরশাদ সরকার শতো নির্যাতনের কথায় হামলা ৯০ গণআন্দোলনের বছর বুকে পাথর বেঁধে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিএনপি নামক সংগঠনটা করেছে এবং কোন মূল্যায়ন ইতিমধ্যে হয়নি,আবার ২০০১ সালে ক্ষমতায় থাকাবস্হায়ও কোন সুযোগ সুবিধা মূল্যায়ন হয়নি এবার তাদের মূল্যায়ন করুন। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল না তখন যারা নির্যাতন, কষ্ট সহ্য করেছে সেই সব ত্যাগী নেতাকর্মীদের দলে মূল্যায়ন করতে হবে। তবেই তৃণমূল পর্যায়ে দল সুসংগঠিত হবে। অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে বিতাড়িত করা হোক।

 

গতবছর ২৪ সালে জুলাই আগস্ট ছাত্র জনতার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ফলে পতিত স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতন হওয়ার পর হঠাৎ করে আকাশের কালো মেঘ সরে গিয়ে একটা উদীয়মান সূর্যের ঝলকানি যখন বাংলাদেশে আকাশে জ্বলজ্বল করছে । আর এ সুযোগে ইতিমধ্যে আটমাসে শহীদ জিয়া,খালেদা জিয়া, আরাফাত রহমান কোকো, দেশমাতা, তারেক রহমান,জায়মা রহমানসহ শহীদ প্রসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পরিবারের সদস্যদের নামে গড়ে উঠেছে নতুন নতুন ‘রাজনৈতিক দোকান’। মূল দলের নামের সঙ্গে মিল রেখে অর্থাৎ ‘দল’ ও স্মৃতিসংসদ মুক্তি পরিষদ,ক্রীড়া পরিষদ শব্দগুলো যোগ করে সংগঠন গড়ে চাঁদাবাজি বা সরকারি সুবিধা নেয়ার চেষ্টা এবার আগেবাগেই শুরু করেছে এসব ভুঁইফোড় সংগঠন। এইসব সংগঠনের কোন অস্হিস্ত বিএনপির গঠনতন্ত্রে রেশমাত্রও নেই।দেশজুড়ে এসব সংগঠনের ছড়াছড়িতে ক্ষুন্ন হচ্ছে শহীদ প্রসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ,সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও জিয়া পরিবারের ভাবমূর্তি। বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে কেউ ধরা পড়লে দুই চার দিন হৈচৈ তারপর যা তাই।এইসব বন্ধের ব্যবস্হা করতে হবে এখনই।

 

আরেকটি বিষয় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক ও বর্তমান কমিটি বিভিন্ন কর্তাব্যক্তিরা কিছু বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন কয়েকজন ব্যক্তি। আর এসব কারণে শুরু থেকেই কম-বেশি বিতর্কে পড়ে মানসিক ভাবে অনেকটা কোনঠাসা হয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ে কর্মীসমর্থকদের মাঝে । ছদ্মবেশে পরাজিত শক্তির লোকজন বিএনপিতে এবং কিছু নেতা ও দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশনা না মেনে গোপনে বিনিময় এর মাধ্যমে প্রবেশ করাচ্ছে এবং প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ করে সুবিধাবদীরা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে।এইসব কমিটি গুলোর আশেপাশে এমন অনেককেই রাখা হয়েছে, অতীতে যাদের আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিল। তাদের জীবনে কখনো বিএনপির রাজনৈতিক সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন না।

 

শহীদ জিয়ার আদর্শকে বুকে ধারণ করে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ভালোবেসে যারা রাজনীতিটা করতে চান তাদেরকে দূরে সরিয়ে রাখা হচ্ছে। পদ পদবিকে যারা উপরে ওঠার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করবে না। সংগঠন বিতর্কিত হয় এমন কোন কাজের সাথে জড়াবে না। বরং শ্রম, ঘাম, মেধা ও ডেডিকেশন দিয়ে দলকে সার্ভ করবে তাদেরকেই বঞ্চিত করা হচ্ছে। দূরে সরিয়ে রাখা হচ্ছে।

 

টানা সতেরো বছর ক্ষমতার বাহিরে রেখে দল বিএনপি চরম সর্বনাশ করেছে স্বৈরাচার আওয়ামিলীগ, এতো হত্যা নির্যাতন হুম খুন মামলা হামলা করে বিএনপিকে বিলীন করতে চেয়েছিলেন ঐতিহ্যবাহী দলটি।একমাত্র তৃণমূলের সমর্থকেরা ত্যাগী নেতাকর্মীদের কারনে বিএনপিকে বিলীন করতে পারেনি বরং আর জনপ্রিয়তা বেড়েছে কয়েকগুণ।এতো কিছুর পরও বর্তমানে কেন্দ্রের সাথে তৃণমূলের দূরত্ব এতটাই প্রকট যেটা সংগঠনকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। জেলা কমিটি গুলোর দিকে তাকালে দেখতে পাবেন সর্বত্রই ‘ম্যাইম্যান’। সংগঠনে কার অবদান কতটুকু সেটা আর এখন বিবেচিত হয় না। ‘কার লোক’ এটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ পদ পাওয়ার ক্ষেত্রে। হাইব্রিডদের চাষাবাদ এবং ফলন খুবই উচ্চ। এদেরকে জায়গা করে দিতে বিএনপি যুবদল ছাত্রদল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের তৃণমূল কোনঠাসা হতে হতে বেদখল হয়ে গেছে এবং এখনো এই ধারাবাহিকতা দিন দিন বেড়েই চলছে।

 

গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় নেতারা বলে আসছেন; দলের একেবারে পিছনের কর্মীটিকেও একদিন মূল্যায়ন করা হবে। এবং আমাদের সুসময় সুযোগ আসলেই ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা হবে। যেকোন নির্বাচন বা কাউন্সিলের আগে সবচেয়ে বেশি বার উচ্চারিত শব্দ- ‘ত্যাগীদের মূল্যায়ন’। কিন্তু দিনশেষে যে লাউ সেই কদুই। দলীয় পোস্ট পদবি এবং ক্ষমতা এখনো তৃণমূল ও ত্যাগীদের কাছ থেকে হাজার মাইল দূরে। ত্যাগীদের মূল্যায়ন তাই আজ বড় তামাশায় পরিনত হয়েছে। টাকা বা লবিং ছাড়া কোন নেতা মূল্যায়িত হচ্ছে না এটা এখন ওপেন সিক্রেট একটি বিষয়।

তাই এবার চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপিসহ সারাদেশে ত্যাগীদের মূল্যায়নে কোন তামশা হলে কোন। রকম মেনে নেবে না তৃণমূল ;দায় নিতে হবে অবশ্যই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ও দায়িত্বশীলদের।

 

প্রতিবেদন:

মিডিয়া কর্মী ক্রীড়া সংগঠক ও রাজনৈক বিশ্লেষক।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০  

১৩ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

© ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | স্বাধীন সূর্যোদয় | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট