শেখ মোঃ তাওহিদ ইসলাম, নেছারাবাদ উপজেলা প্রতিনিধি: পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ থানার কামারকাঠি গ্রাম মুরগির খামারের জন্য বিখ্যাত। এখানে পালন করা হয় ২ প্রজাতির মুরগি। মাংস উৎপাদনকারী ব্রয়লার এবং ডিম উৎপাদনকারী মুরগি।
মোঃ জাকির হোসেন মুরগি পালনে সফলতা অর্জন করেছে। তার রয়েছে বেশ কয়েকটি মুরগির খামার এবং সেখানে রয়েছে প্রায় ৩০ হাজার মুরগি। স্বল্প আয়তনের বাংলাদেশের ঘনবসতিপূর্ণ মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণে তার ভূমিকা অপরিসীম। এছাড়াও তার মুরগি খামারে কাজ করে কর্মসংস্থান খুঁজে নিয়েছে প্রায় ৫০-৬০ জন ।
মোঃ জাকির হোসেনের মুরগির খামারে কর্মরত কর্মচারী
মোঃ রাব্বি ইসলাম স্বাধীন সূর্যোদয় কে জনায়, জাকির সাহেবের মুরগির খামারে প্রায় ৩০ হাজার মুরগি রয়েছে এবং সেখান থেকে প্রতিদিন ২০ হাজারের অধিক ডিম উৎপাদিত হয়। তিনি আরো বলেন, মুরগি ও মাছ সমন্বিত চাষ করেন জাকির সাহেব । এক্ষেত্রে একদিকে যেমন মাংস ও ডিম উৎপাদিত হয় তেমনি মাছ উৎপাদিত হয়।
তার খামার থেকে বিভিন্ন জায়গায় ডিম, মাছ এবং মুরগি সরবরাহ করা হয়। মোঃ জাকির হোসেনের পরামর্শক্রমে স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী মুরগি পালনে উৎসাহিত হয়ে মুরগি পালন শুরু করেছে। তিনি স্বরূপকাঠি উপজেলার বিভিন্ন মুরগি ব্যবসায়ীদের তথ্য ও সেবা দিয়ে সহায়তা করে থাকেন। এছাড়াও স্বরূপকাঠি উপজেলা সংলগ্ন জগন্নাথপট্টি বাজারে মুরগির খাবার সহ বিভিন্ন ঔষধ সামগ্রী বিক্রয় করে থাকেন তিনি।
তাকে মুরগি পালনে স্থানীয় তথ্য ভান্ডার বলা যেতে পারে। ডিম, মাছ এবং মুরগি উৎপাদন করে তিনি দেশের মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণে তার ভূমিকা অপরিসীম।