মোঃছায়েদ আলী (শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি): অদ্য-১৯/ ডিসেম্বর রোজ বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া বনের ভিতরে রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় শ্রীমঙ্গল থেকে বন্ধুদের সাথে নিয়ে ঘুরতে গিয়ে সাম্য দে নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থী টিকটকের ভিডিও তৈরি করার সময় ট্রেনের ইঞ্জিনের ধাক্কায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন,
শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ তার মৃতদেহ গাড়িতে উঠানোর সময় এক মর্মান্তিক দৃশ্য দেখা যায় তার মা সহ আত্মীয়স্বজনরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন, এসময় স্বজনরা তার মাকে অজ্ঞান অবস্থায় একটি মাইক্রোতে তুলে বাড়িতে নিয়ে চলে যান, এসময় হাসপাতালে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা ঘটে,
হাসপাতাল থেকে স্বজনদের সুত্রে জানা গেছে,সে শ্রীমঙ্গল ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল, তার নাম সাম্য দে (১৬) পিতার নাম সুব্রত দে, স্থায়ী ঠিকানা ভীমশী,ভুনবীর, শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার। সে, মাবাবার সাথে শ্রীমঙ্গল শহরের মাস্টারপাড়ায় বসবাস করত।
তার বাবা প্রবাসে থাকে এবং তার মাতা রিতা দে শ্রীমঙ্গল সাব রেজিস্টার অফিসের ক্লার্ক দায়িত্ব পালন করে করছেন।
হাসপাতালে রেকর্ড সূত্রে জানা গেছে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা বন্ধুদের সবাই তার সময় বয়সি।
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে মাস্টার সাখাওয়াত হোসেন, তিনি বললেন, বারোটা ৩৭ মিনিটে আমাদের একটি ইঞ্জিন পাহাড়িকার ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় উদ্ধার করে নিয়ে আসার জন্য, যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। তবে জায়গাটা কোথায় তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারেনি।
শুধুমাত্র যেহেতু ইঞ্জিন ছিল ইচ্ছা করলে ছেলেটিকে রক্ষা করা যেতো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হয়তো রাস্তা বাঁকা ছিল।
এ ব্যাপারে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী রেলওয়ে থানার এএসআই আশিকুর রহমান তিনি বলেন, লাউয়াছড়া বনের ভিতরে রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে টিক টক ভিডিও করার সময় তার মাথায় ইঞ্জিনের আঘাত লাগলে, সে সামনের দিকে দৌড়াতে থাকে এ অবস্থায় দ্বিতীয় ধাক্কায় সে পড়ে যায়,এবং গুরুতর আহত হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,পাহাড়িকার ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় শ্রীমঙ্গল থেকে একটি ইঞ্জিন দ্রুত গতিতে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটেছে, সম্ভবত দ্রুতগতি থাকার কারণেই ছেলেটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমাদের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিলে ময়না তদন্ত ছাড়াই সৎকার করা হতে পারে।
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত ডা: দেবশ্রী জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় তার কয়েকজন বন্ধুরা মিলে ইমার্জেন্সি বিভাগে নিয়ে আসলে আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখি যে, সে পূর্বেই মারা গেছে।