মো. জুয়েল খান (স্টাফ রিপোর্টার গাজীপুর) গাজীপুরের ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের সংরক্ষণ ও উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে স্টেকহোল্ডারদের এক বিশেষ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই কর্মশালা আয়োজন করে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন। তিনি বলেন, “আমাদের দেশে ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকার কথা থাকলেও তা বাস্তবে নেই। ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের ভেতরে থাকা ব্যক্তিমালিকানা জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে উদ্যানের আয়তন বৃদ্ধি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জমি অধিগ্রহণ নিয়ে জমির মালিকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। বনভূমি রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং বৃক্ষরোপণে উদ্যোগ নিতে হবে। আমরা চাই না বনভূমি দখল হোক। বন সংরক্ষণ না করলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া হবে।”
কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা শারমিন আক্তার।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা শারমীন আক্তার বলেন, “গত অর্থবছরে উপকারভোগীদের মধ্যে ১ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা লভ্যাংশের চেক বিতরণ করা হয়েছে। ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানকে পলিথিন এবং প্লাস্টিক বর্জ্যমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এখন সময় এসেছে উদ্যান সংরক্ষণের। ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা এবং বহুমুখী প্রতিবন্ধকতা দূর করতে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কাজ করতে হবে।”
তিনি আরও জানান, “উদ্যানের ভেতরের ব্যক্তিমালিকানা ভূমি অধিগ্রহণের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য বন বিভাগ কাজ করছে। এছাড়া উদ্যানের উন্নয়নে একটি মাস্টারপ্লান বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
অন্যান্য বক্তারা আরও বলেন, উদ্যান সংরক্ষণ এবং উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি টেকসই প্রকৃতি নিশ্চিত করা যাবে।