আকাশ খান রৌমারী উপজেলা প্রতিনিধি: রৌমারী উপজেলা সমাজসেবা অফিসের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগে আলোড়ন সৃষ্টি হলেও, সমাজসেবা অফিসার মোঃ মিনহাজ উদ্দিন নিজের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ খণ্ডন করেছেন। সম্প্রতি আমাদের একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন যে, তার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতি এবং ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ যারা তুলেছে, তারা প্রকৃত ঘটনা আড়াল করার চেষ্টা করছে।
নিজেকে সাফ জানিয়ে মিনহাজ উদ্দিন বলেন
“এ ধরনের অভিযোগ যে মিথ্যা, সেটা আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই। আমি কখনোই ঘুষের সাথে জড়িত ছিলাম না। এসব অভিযোগে আমি কলঙ্কিত হতে চাই না। আমি তো নিজেই সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সহযোগিতা করার জন্য কাজ করছি। এ সমস্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং তা তদন্তের মাধ্যমে প্রমাণিত হবে।”
সামাজিক সেবার প্রকৃত সেবা
অফিসারের পক্ষে প্রতিবাদ জানিয়ে, সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনস্থ ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। তাদের দাবি, তারা সমাজসেবা অফিস থেকে একেবারে বিনামূল্যে ভাতা, কার্ড এবং অন্যান্য সেবাসমূহ পেয়েছেন। কোনো প্রকার টাকা বা ঘুষের বিনিময়ে তাদের সেবা প্রদান করা হয়নি।
একজন ভুক্তভোগী জানান, “আমি নিজের বয়স্ক ভাতা এবং অন্যান্য কার্ড সঠিকভাবে পেয়েছি। কোনো প্রকার অর্থ প্রদান করার কোনো সুযোগই ছিল না। অফিসের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা খুবই সহায়ক এবং আমাদের জন্য খুবই পেশাদার।”
মিনহাজ উদ্দিনের প্রতিশ্রুতি
মিনহাজ উদ্দিন আরও বলেন, “আমি সবসময় সমাজের অসহায় মানুষের পাশে আছি এবং সমাজসেবার মাধ্যমে তাদের জীবনে কিছুটা হলেও স্বস্তি আনতে চেষ্টা করছি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগগুলি তদন্তের মাধ্যমে পুরোপুরি মুছে ফেলা হবে।”
বিশ্বাস ও স্বচ্ছতার পথে সমাজসেবা
বিভিন্ন ভুক্তভোগী এবং তাদের অভিজ্ঞতা থেকে এটা পরিষ্কার যে, সমাজসেবা অফিসে আসলে গ্রাম্য মানুষের জন্য সঠিক সেবা দেওয়া হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, স্থানীয় জনগণের কথা গুরুত্ব সহকারে শোনা উচিত এবং এ ধরনের অভিযোগের বিরুদ্ধে স্বচ্ছ তদন্ত প্রক্রিয়া চালু করতে হবে। মিনহাজ উদ্দিনের পক্ষে কিছু ভুক্তভোগী সত্যি কথা বলেছেন এবং তাদের অভিজ্ঞতা থেকে বুঝা যায়, সমাজসেবা কর্মকর্তার ভূমিকা আসলে প্রশংসনীয়।
এখানে সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, যেহেতু ভুয়া অভিযোগ উঠেছে, তাই এর সঠিক তদন্ত হওয়া প্রয়োজন এবং যারা সত্যি সত্যি সমাজসেবা পাচ্ছেন, তাদের অভিজ্ঞতা প্রকাশিত হওয়া উচিত, যাতে জনগণ সঠিক তথ্য পায়।