মুহাম্মদ হাবিব (চরফ্যাশন উপজেলা প্রতিনিধি): ভোলার চরফ্যাশনেও বইছে হালকা শীতের তীব্রতা। তাই শীত বেড়ে যাওয়ার আগেই শীতবস্ত্রের দিকে ছুটছেন ক্রেতারা। কম দামে শীতবস্ত্র কেনার ক্ষেত্রে মধ্যবিত্ত ও নিন্মমধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন ঝুঁকছেন ফুটপাত কিংবা অস্থায়ীভাবে গড়ে তোলা শীতবস্ত্রের দোকানগুলোর দিকে। তারা হালকার চেয়ে ভারী শীতবস্ত্র কেনার দিকেই বেশি মনোনিবেশ করছেন। শীত বাড়ার সাথে সাথেই জমে উঠেবে চরফ্যাশনে শীতবস্ত্রের বাজার। ফুটপাত কিংবা অস্থায়ীভাবে গড়ে তোলা শীতবস্ত্রের এসব দোকানগুলোতে ভিড় করছেন নিন্মবিত্ত থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। উদ্দেশ্য একটাই কম দামে ভালো মানের পোষক কেনা। যদিও কাপড়গুলো পুরাতন, তবে দেখে পুরাতন মনে হয় না। তাই ভিড় ঠেলে পছন্দের পোশাক কিনতে ব্যস্ত ক্রেতারা। প্রায় ৫০ বছর আগের হকারদের হাত ধরে শুরু হয় পুরাতন কাপড় বিক্রির এই মার্কেটের। প্রত্যেক বছরের নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এখানে চলে শীতবস্ত্র বেচা-কেনা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়,চরফ্যাশন সদর রোডে শীতের পোশাক সাজিয়ে বসেছেন প্রায় ২৫ থেকে৩০টির মতো দোকান।প্রতিদিন এ সব দোকানে ভিড় লেগেই থাকছে। কোন দোকানে একদামে আবার কোন দোকানে দামাদামি করে চলছে বিক্রি।
আরো জানা গেছে, শীত আসলেই ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে আসে এসব পুরনো কাপরের গাইড। মূলত শীত যতদিন থাকে ততদিন এ ব্যবসার সাথে যুক্ত থাকেন ব্যবসায়ীরা। এই গাইডগুলোর মধ্যে শিশু ও বড়দের পোষাক সুয়েটার, গরম কাপর, কম্বলসহ বিভিন্ন ধরনের কাপড় থাকে। মূলত নিন্ম-আয়ের মানুষদের টার্গেট করে এসব কাপর এখানে বিক্রি হয়। শীতের উপর নির্ভরশীল এ ব্যবসা, শীত যত বেশি হবে ব্যবসাও হবে জমজমাট। তবে এবার ভালো ব্যবসার আশাবাদ ব্যবসায়ীদের।
চাকুরীজীবী আমিন উল্যাহ চৌধুরী বলেন, আমি এই মার্কেটে কয়েকবার এসেছি, এখানে অনেক চয়েজফুল শীতের পোষাক পাওয়া যায়। এগুলো সব বাহিরের ১শ’ ৫০ টাকার একটি সোয়েটার যদি ধোলায়ের পর আয়রন করার হয় তা হলে কেউ বলবে পারবে না এটা আমি এই পুরাতন মার্কেট থেকে কিনেছি। মনে হবে এটা আমি ১ হাজার ২শ’ টাকা দিয়ে কিনেছি।ব্যাবসায়ীরা বলেন গত বছর ভালোই ছিলো, এবার আশাকরি শীত পরলে ভালো বেচা-কেনা হবে ইনশাল্লাহ।