1. lukmanmiah2619@gmail.com : news_shadhin :
  2. shadhinsurjodoy@gmail.com : স্বাধীন সূর্যোদয় : স্বাধীন সূর্যোদয়
  3. info@www.shadhinsurjodoy.com : স্বাধীন সূর্যোদয় :
সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ০৬:১৫ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি:
স্বাধীন সূর্যোদয় অনলাইন পত্রিকায় আপনাকে স্বাগতম। সারাদেশে জেলা ও  উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহী হলে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করুন। হোয়াটসঅ্যাপ: ০১৮৮৩-৩০৬০৪৮

ভোলার তজুমউদ্দিন উপজেলায় নড়েবড়ে সেতু দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন ১০ হাজার মানুষ

মোঃমাকসুদ আলম (লালমোহন প্রতিনিধি)
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

মোঃমাকসুদ আলম (লালমোহন প্রতিনিধি)

ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় নড়বড়ে একটি কাঠের সেতু দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন অন্তত ১০ হাজার মানুষ। উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের বেতুয়া খালের ওপর ৩ বছর আগে নির্মাণ করা হয় ওই কাঠের সেতুটি। বর্তমানে সেতুর বিভিন্নস্থান দিয়ে পাটাতন ভেঙে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। যার ফলে ওই ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডের প্রায় ১০ হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে রয়েছেন। এছাড়া শিক্ষার্থীরাও ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন সেতুটি দিয়ে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসায় আসা-যাওয়া করছে।

স্থানীয়রা জানান, তজুমদ্দিন উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়ন ৫, ৬ ও ৯নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় ১০ হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম কাঠের সেতুটি। এটি ২০২২ সালে উপজেলা পরিষদ ও এলাকাবাসীর অর্থায়নে নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের পর থেকে মেরামতের অভাবে সেতুটি ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় ৯০ ফুট দীর্ঘ ও পাঁচ ফুট চওড়া কাঠের ব্রিজটির পাটাতনের দুই পাশসহ ভেঙে গেছে রেলিংগুলো। সেতুর খুঁটি হিসেবে বাঁশ, কাঠ এবং ওপরে কাঠের পাটাতন দেয়া হয়। দীর্ঘ দিন ব্যবহারের ফলে কাঠের পাটাতন পচন ধরার পাশাপাশি কিছু কাঠের খুঁটি হেলে এবং ভেঙে রয়েছে। খালটির চারপাশে ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ফসলিজমি থাকায় সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে কয়েক হাজার মানুষ। এছাড়া কাঠের সেতুটি জরাজীর্ণ হওয়ায় গাড়ি আসা-যাওয়া করতে না পারায় কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের যথাযথ মূল্যও পাওয়া থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা তাজল, ইয়ানুর, সুমা এবং নোমানসহ কয়েকজন বলেন, ভাঙা সেতুটি দিয়ে আমাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত এবং ছেলে-মেয়েদের স্কুল-মাদরাসায় পাঠাতে হয়। বর্ষার মৌসুমে কাঠের সেতুর ওপরও পানি থাকে, তখন ঘরবন্দী হয়ে থাকি, খুবই ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতুর পাটাতনের কাঠগুলো ভেঙে গেছে। এর ফলে চরম বিপাকে রয়েছেন আশেপাশের অন্তত ১০ হাজার মানুষ। তাই এখানে দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি পাকা সেতু নির্মাণের দাবি করছি।

শম্ভুপুর ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন জানান, কাঠের সেতুটি ৩ বছর আগে উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে ঝড়-বৃষ্টির কারণে ওই কাঠের সেতুটি এখন জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। তাই এখানে একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণ করা খুবই প্রয়োজন।

তজুমদ্দিন উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী (এলজিইডি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, আমি এখানে নতুন এসেছি, তাই কাঠের সেতুটি স¤পর্কে আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে সেতুর প্রকল্প তৈরি করে সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হবে। এরপর বরাদ্দ পেলে সেখানে একটি ব্রিজ নির্মাণের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১  

[bangla_date]

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | স্বাধীন সূর্যোদয় | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট