মোহাম্মদ মামুন উদ্দিন(অনলাইন রিপোর্টার) সেন্টমার্টিন দ্বীপে সাম্প্রতিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশের অন্যতম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি নিঝুমদ্বীপে এখন পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা এই অপূর্ব দ্বীপের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাজারো ভ্রমণপিপাসু পর্যটক ছুটে আসছেন।
নোয়াখালীর ব্র্যান্ডিং করা হয়েছে নিঝুমদ্বীপের নামে। এখানকার বিশেষ আকর্ষণ চিত্রা হরিণের পাল, প্রায় ৩৫ প্রজাতির পাখি, এবং দ্বীপের দক্ষিণে বৃত্তাকারে বিস্তৃত প্রায় ১২ কিলোমিটারজুড়ে থাকা বিশাল সী-বিচের স্বচ্ছ জলরাশি। বিশেষ করে, দ্বীপের দক্ষিণপ্রান্ত থেকে একই স্থানে দাঁড়িয়ে একসঙ্গে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার বিরল সুযোগটি পর্যটকদের দারুণভাবে আকৃষ্ট করছে।
পর্যটন শিল্পের বিকাশে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো,
দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আরও আকৃষ্ট করতে চেয়ারম্যান ঘাট টু নিঝুমদ্বীপ সরাসরি একটি আধুনিক ক্রুজ (সেন্টমার্টিনের কেয়ারি ক্রুজের মতো), একটি পন্টুন এবং ভালো মানের রিসোর্ট, হোটেল-মোটেল ও রেস্তোরাঁ নির্মাণ করা প্রয়োজন। এছাড়া, প্রস্তাবিত নোয়াখালী বিমানবন্দর চালু হলে নিঝুমদ্বীপকে ঘিরে দেশের পর্যটন শিল্প দ্রুত বিকশিত হবে।
পর্যটন খাতে উপার্জিত আয় দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে এবং নিঝুমদ্বীপ হয়ে উঠবে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণীয় গন্তব্য। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি ও পরিকল্পিত অবকাঠামোগত উন্নয়নই পারে এই সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে।