মোঃমাকসুদ আলম (লালমোহন প্রতিনিধি)
বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হওয়ায় দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্যমতে, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে উপকূলীয় জেলা ভোলায় সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির উপ-পরিচালক মো. সাহাবুদ্দিন জানিয়েছেন, ঝুঁকি মোকাবেলায় জেলার ১৩,৮০০ জন স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া দুর্যোগকালীন ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে আগামী শনিবার (২৪ মে) সকালে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে।
জেলার নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ইতোমধ্যে নদী উত্তাল হয়ে উঠেছে। সকাল থেকে কখনো রৌদ্র, কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি — এমন বিরূপ আবহাওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা। তারা সঠিক সময়ে দুর্যোগের তথ্য ও পূর্বাভাস নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
বিআইডব্লিউটিএ জানিয়েছে, উপকূলবর্তী এলাকায় সবধরনের নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডও তাদের প্রাথমিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। নদীর পানি বেড়ে গেলে বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কায় পর্যাপ্ত জিও ব্যাগ মজুত রাখা হয়েছে যাতে তাৎক্ষণিক প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।
জেলায় ৮৬৯টি আশ্রয়ণ কেন্দ্র ও ১৯টি কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যাতে প্রয়োজন হলে মানুষ আশ্রয় নিতে পারে। জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, ভোলা ও আশপাশের জেলাগুলোতে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বলবৎ রয়েছে এবং বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
ভোলার প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবীরা সর্বোচ্চ প্রস্তুতিতে থাকলেও স্থানীয়দের দাবি—প্রযুক্তিগত হালনাগাদ ও দ্রুত পূর্বাভাস পৌঁছানোর ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করা হয়।