আসাদুজ্জামান,প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম: ২৮.০৫.২০২৫ খ্রি.
কুড়িগ্রামের যাত্রাপুর পশুর হাট থেকে রশিদ ছাড়া চাঁদা আদায়ের অভিযোগে মো. মাহাবুব রহমান(৫৮) ও মো. আলমগীর(২৭) নামের দুই ব্যক্তির নামে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। অবৈধভাবে ইজারার রশীদছাড়া চাঁদা আদায়ের অভিযোগে আজ বুধবার(২৮ মে) সকালে মামলা হয় এবং পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে।
গ্রেপ্তারকৃত মো. মাহাবুব রহমান কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বেলগাছা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এবং মো. আলমগীর কুড়িগ্রাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার যাত্রাপুর গরুর হাটে ওই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে রশীদবিহীন চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ উঠে। পরে ফেনী জেলার মহিষ ব্যবসায়ী আনয়ার হোসেন আজাদ যাত্রাপুর হাটে টহলরত যৌথবাহিনীকে অভিযোগ দিলে তাঁদের আটক করা হয়।
পরে আজ সকালে ওই মহিষ ব্যবসায়ী বাদী হয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা করেন।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ফেনীর ছাগলনাইয়া এলাকার মহিষ ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন আজাদ গতকাল মঙ্গলবার যাত্রাপুর হাট থেকে ১৭টি মহিষ কিনেন। পরে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাঁকে(আনোয়ার) গরু মহিষ বিক্রির রশীদ সেড ঘড়ে নিয়ে যায় এবং প্রতিটি মহিষের জন্য ৫০০ টাক হিসাবে ৮ হাজার ৫০০ টাকা চাঁদা আদায় করেন। এসময় আনোয়ার হোসেন তাঁদের কাছে রশীদ চাইলে তারা হাটের ইজারার বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। ওইসময় আনোয়ার হোসেন হাটে দায়িত্বরত যৌথ বাহিনীকে বিষয়টি জানালে যাত্রাপুর হাট থেকে তাঁদের আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
এ বিষয়ে জানতে মহিষ ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মো. মাহাবুব রহমান ও তাঁর সহযোগী মিলে আমার কাছ থেকে ১৭টি মহিষের জন্য ৮ হাজার ৫০০ টাকা নিয়েছে কিন্তু আমাকে কোন রশীদ দেয়নি। তাই আমি যৌথ বাহিনীকে জানিয়েছি। পরে থানায় মামলা করেছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, মাহাবুব রহমান ওই হাটের বৈধ ইজারাদার হলেও ওই সময়ে যৌথ বাহিনীকে ও আমাদের কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মো. হাবিবুল্লাহ জানান, মো. মাহাবুব রহমান যাত্রাপুর হাটের বৈধ ইজারা মালিক। তবে ওই সময়ে তাঁর কাছে কাগজপত্র না থাকায় চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক করা হয়। আজ সকালে থানায় চাঁদাবাজির মামলা করেন ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন। ওই মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
আসাদুজ্জামান, জেলা প্রতিনিধি,কুড়িগ্রাম।
০১৭১৮৬৮৫৪০৮