মোহাম্মদ মামুন উদ্দিন (অনলাইন রিপোর্টার)
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নে ভয়াবহ এক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ঘরে ঢুকে আমেনা বেগম (৫০) নামে এক নারীকে গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করে মরদেহ পুকুরে ফেলে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে হত্যার পেছনের কারণ সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ ও নিহতের স্বজনেরা।
বুধবার (২৮ মে) রাত আনুমানিক ১০টার দিকে উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের শতফুল গ্রামে মো. এমরান উদ্দিনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রাত ২টা ১৫ মিনিটের দিকে নিঝুমদ্বীপ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে। পরদিন বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুপুরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত আমেনা বেগম ছিলেন মো. এমরান উদ্দিনের স্ত্রী। দাম্পত্য জীবনে তিনি ৪ মেয়ে ও ২ ছেলের জননী ছিলেন। তাদের মেয়েরা বিবাহিত এবং ছেলেরা জেলা শহর মাইজদীতে থেকে পড়ালেখা করছেন। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই বাড়িতে থাকতেন।
স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আমিরুল মোমিন বাবলু জানান, এমরান উদ্দিন পেশায় শুঁটকি ব্যবসায়ী। বুধবার সন্ধ্যায় তিনি বাড়িতে ফিরে স্ত্রীকে নামাজরত অবস্থায় রেখে বাজারে চলে যান। পরে রাত পৌনে ১০টার দিকে বাড়ি ফিরে দেখেন ঘরের দরজা খোলা এবং স্ত্রী কোথাও নেই। ঘরের ভেতরে মাঝখানের কক্ষে রক্তের দাগ দেখতে পেয়ে তিনি দ্রুত স্থানীয়দের খবর দেন।
পরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করলে বাড়ির পাশের পুকুরে আমেনা বেগমের রক্তাক্ত মরদেহ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পান। ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা গলা কেটে তাকে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে দেয়।
নিঝুমদ্বীপ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মান্নান জানান, “আমেনা বেগমকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। রাত ২টার পর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।”
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেন, “ঘটনার পর পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মরদেহ উদ্ধার করেছে। কে বা কারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
এ ঘটনায় এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। পুলিশ বলছে, দ্রুতই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও দায়ীদের শনাক্তে কাজ করছে তারা।