সোহাগ তালতলী উপজেলা প্রতিনিধি
নোট : বলে রাখা ভালো, বৃষ্টি বলয় ধারা অলরেডি দেশের মধ্য ও দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে সক্রিয় হতে শুরু করেছে। এটি আগামী ২৪-৩৬ ঘণ্টার মধ্যে দেশের ৬০-৭০% এলাকায় প্রথম ধাপে সক্রিয় হতে পারে। এরপর ২৬ তারিখে দক্ষিণাঞ্চল ব্যতীত বাকি এলাকায় বৃষ্টি অনেকটা কম থাকতে পারে। এরপর ২৬ তারিখ রাত থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘন্টায় বৃষ্টি বলায় ধারা পর্যায়ক্রমে দেশব্যাপী সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে।
এটি একটি পূর্ণাঙ্গ বৃষ্টি বলয়, মানে এই বৃষ্টি বলয়ে দেশের সকল এলাকায় যথেষ্ট বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এবং এই বৃষ্টি বলয় টি দেশের ১০০ শতাংশ এলাকায় কমবেশি বৃষ্টি হতে পারে।
এটি চলতি বছরের ৯ তম বৃষ্টি বলয় ও ৫ম মৌসূমী বৃষ্টি বলয়, যা আজ ২৪ শে জুলাই চট্টগ্রাম বিভাগ হয়ে দেশের প্রবেশ করেছে ও ২ রা অগাস্ট রংপুর হয়ে দেশ ত্যাগ করতে পারে।
সর্বাধিক সক্রিয়ঃ চট্টগ্রাম,,বরিশাল ও খুলনা বিভাগ
বেশ সক্রিয় : ঢাকা, সিলেট, ময়মনসিংহ ও রাজশাহী বিভাগ
মাঝারি সক্রিয় : রংপুর বিভাগ
নাম : প্রবল বৃষ্টি বলয় ধারা
টাইপ : পূর্ণাঙ্গ বৃষ্টি বলয়।
কাভারেজ : দেশের প্রায় ১০০ শতাংশ এলাকা।
ধরন : মৌসূমী বৃষ্টি বলয়
সময়কাল : ২৪ শে জুলাই হতে ১লা অগাস্ট পর্যন্ত।
সর্বাধিক সক্রিয়: ২৪-২৫ শে জুলাই দেশের ৬০-৭০% এলাকায় ও ২৭ শে জুলাই হতে ১লা অগাস্ট পর্যায়ক্রমে দক্ষিন হতে উত্তরাঞ্চলে।
কালবৈশাখী : নেই
বজ্রপাত : অপেক্ষাকৃত কম [শুরুতে বেশি]
বন্যা : আছে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের বন্যা প্রবণ নিচু এলাকায়।
একটানা বর্ষন : আছে
সিস্টেম : ১/২টি মৌসূমী সিস্টেম আছে।
ঝড় : এই বৃষ্টি বলয়ে দেশের উপর বড় কোন ঝড়ের সম্ভাবনা নেই তবে উপকূলীয় এলাকায় লঘুচাপ বা নিম্নচাপের কারণে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
সাগর : বেশিরভাগ সময়েই কিছুটা উত্তাল থাকতে পারে সামুদ্রিক সিস্টেম ও বায়ুচাপের তারতম্যের কারণে।
পাহাড় ধসঃ এসময় চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের পাহাড়ি এলাকাতে পাহাড় ধ্বসের বেশ আশঙ্কা রয়েছে।
নোট : বৃষ্টিবলয় “ধারা” চলাকালীন সময়ে দেশের আকাশ অধিকাংশ এলাকায় আংশিক থেকে মূলত মেঘলা থাকতে পারে। ও অধিক সক্রিয় এলাকায় মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে।
বৃষ্টি বলয় “ধারায়” অধিকাংশ বৃষ্টিপাত হতেপারে একটানা ও দীর্ঘস্থায়ী।
*এই বৃষ্টি বলয় চলাকালীন সময়ে দেশের প্রায় ৮০-৯০% এলাকায় পানি সেচের চাহিদা পুরন হতে পারে।
বৃষ্টিবলয় ধারা চলাকালীন সময়ে দেশের আবহাওয়া অধিকাংশ এলাকায় আরামদায়ক থাকতে পারে, তবে বৃষ্টি বিরতির সময় অল্প কিছুটা ভ্যপসা গরম পড়তে পারে কিছু কিছু এলাকায়।
তবে ২৪ শে জুলাই হতে ২৬ শে জুলাইয় পর্যন্ত দেশের মধ্য ও উত্তর অঞ্চলে মাঝে মাঝে ভ্যাপসা গরম পড়তে পারে।
ধারা চলাকালীন সময়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর অধিকাংশ সময়েই সামুদ্রিক সিস্টেম ও বায়ুচাপের তারতম্যের কারনে কিছুটা উত্তাল থাকতে পারে।
“ধারা” চলাকালীন সময়ে বেশি সক্রিয় স্থানে রোদের উপস্থিতি তেমন পাওয়া যাবেনা ইনশাআল্লাহ।
মেঘের অভিমুখ: শুরুতে দক্ষিণ-পূর্ব থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে। তারপর এরপর অধিকাংশ এলাকায় দক্ষিণ হতে উত্তর দিকে। তবে মাঝে মাঝে বিভিন্ন এলাকায় গতিপথ ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। যেমন, উপকূলে দক্ষিণ পশ্চিম হতে উত্তর পূর্ব দিকে এবং উত্তরাঞ্চলে দক্ষিণ পূর্ব থেকে উত্তর পশ্চিম দিকে।
বজ্রপাতঃ এই বৃষ্টি বলয়ে দেশের অধিকাংশ এলাকায় শুরুতে বেশ বজ্রপাত হতে পারে। এবং পরবর্তীতে বৃষ্টি বলয় দেশে বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠার সাথে সাথে বজ্রপাত কমে যেতে পারে। শুরুতে বজ্রপাত বেশি হলেও, বৃষ্টি বলয়ের অনেকাংশে বজ্রপাত মুক্ত থাকতে পারে।
আসুন একনজরে দেখেনেই বৃষ্টি বলয় ধারা এ চলাকালীন সময়ে দেশের কোন বিভাগে গড়ে কত মিলিমিটার বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। ও বৃষ্টি বলয়ের ১০ দিনে কোন বিভাগে গড়ে কত দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
ঢাকা ২১৫-২৫০ মিলিমিটার, গড়ে ৫দিন
খুলনা ৩২০-৩৫০ মিলিমিটার গড়ে ৮ দিন
বরিশাল ২৫০-৩৫০ মিলিমিটার গড়ে ৮ দিন
সিলেট ২৭০-৩০০ মিলিমিটার গড়ে ৬ দিন
ময়মনসিংহ ২১৩-২৪০ মিলিমিটার গড়ে ৫ দিন
রাজশাহী ১৭৫-২০০ মিলিমিটার গড়ে ৫ দিন
রংপুর ১৪৫-১৭০ মিলিমিটার গড়ে ৪ দিন
চট্টগ্রাম ৩৫৫-৫৫০ মিলিমিটার গড়ে ৮ দিন।
আসুন একনজরে দেখে নেই, বৃষ্টি বলয় ধারায় চলাকালীন সময়ে আপনার জেলায় গড়ে কত মিলিমিটার বৃষ্টি হতেপারে।
জেলার নাম। বৃষ্টির পরিমান (মিমি)
বরিশাল ৩০০
ভোলা উত্তর ৩৫০
ভোলা দক্ষিণ ৪০০
বরগুনা ৪০০
ঝালকাঠি ৩২০
পটুয়াখালী উত্তর ৩৫০
পটুয়াখালী দক্ষিণ ৩৬০
বান্দরবান উত্তর ৩৫০
বান্দরবান দক্ষিণ ৪৫০
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০
চাঁদপুর ৩০০
চট্টগ্রাম উত্তর ৪০০
চট্টগ্রাম দক্ষিণ ৪৬০
কুমিল্লা উত্তর ২৬০
কুমিল্লা দক্ষিণ ৩০০
কক্সবাজার উত্তর ৫০০
কক্সবাজার দক্ষিণ ৫৫০
ফেনী ৪০০
খাগড়াছড়ি উত্তর ২৫০
খাগড়াছড়ি দক্ষিণ ২৮০
লক্ষ্মীপুর ৩৬৫
নোয়াখালী উত্তর ৩৬০
নোয়াখালী দক্ষিণ ৪০০
রাঙামাটি উত্তর ২৫০
ঢাকা ২০০
ফরিদপুর ২৫০
গাজীপুর ২১০
গোপালগঞ্জ ২৮৫
মাদারীপুর ২৫০
মানিকগঞ্জ ১৯০
মুন্সীগঞ্জ ২০৫
নারায়ণগঞ্জ ৬৩
নরসিংদী ২০০
রাজবাড়ী ২৪০
শরীয়তপুর ২৪০
টাঙ্গাইল ২০০
জামালপুর ১৬৫
ময়মনসিংহ উত্তর ২৫০
ময়মনসিংহ দক্ষিণ ২২০
নেত্রকোনা ২৫০
বাগেরহাট উত্তর ৩৪০
বাগেরহাট দক্ষিণ ৪০০
চুয়াডাঙ্গা ২৭৫
যশোর ২৮০
ঝিনাইদহ ২৭৭
খুলনা উত্তর ৩৫০
খুলনা দক্ষিণ ৪০০
কুষ্টিয়া ২৫০
মাগুরা ২৮০
মেহেরপুর ২৬০
নড়াইল ২৯০
সাতক্ষীরা উত্তর ৩৫০
বগুড়া ১৬৫
জয়পুরহাট ১৫০
নওগাঁ ১৭০
নাটোর ১৮৫
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ১৭৫
পাবনা ২০০
রাজশাহী ১৭০
দিনাজপুর ১০০
গাইবান্ধা ১২০
কুড়িগ্রাম ১৫০
লালমনিরহাট ১৯০
নীলফামারী ১৮৫
পঞ্চগড় ২০০
রংপুর ১০০
হবিগঞ্জ ২২০
মৌলভীবাজার ২৪০
সুনামগঞ্জ ৩০০
উত্তর ২৪ পরগনা ২৮৫
দক্ষিণ ২৪ পরগনা ৩৫০
দক্ষিণ মধ্য বাংলা ৩০০
কলকাতা ৩১০
দীঘা ২৭০
পশ্চিম মেদিনীপুর ২৮৫
বাঁকুড়া ৩৫০
পুরুলিয়া ৩০০
পূর্ব বর্ধমান ৩১০
আসানসোল ৩৮৫
বহরমপুর ২৪০
মালদা ১৪০
রায়গঞ্জ ১১০
ইসলামপুর ১৪০
শিলিগুড়ি ২২০
দার্জিলিং ২৫০
জলপাইগুড়ি ২২০
উত্তর ওড়িশা ২০০
উত্তর ঝাড়খণ্ড ২৫০
দক্ষিণ ঝাড়খণ্ড ২০০
জামশেদপুর ৩০০
রাঁচি ২৮৫
দক্ষিণ বিহার ২০০
পূর্ব বিহার ১১৫
নেপাল
উচ্চ নেপাল ২০০
ভুটান
পশ্চিম ভুটান ১০০
মধ্য ভুটান ১০৫
আসাম
পশ্চিম আসাম ২২০
মধ্য আসাম ১৪০
পূর্ব আসাম ১৭৫
চেরাপুঞ্জি ৪৫০
মধ্য মেঘালয় ১৫০
দক্ষিণ পশ্চিম অরুণাচল ২০০
মধ্য ত্রিপুরা ৩৪০
ত্রিপুরা-মিজোরাম সীমান্ত ২৫০
মণিপুর ১৫০
নাগাল্যান্ড ১৬০
উত্তর মিজোরাম ২০০
উত্তর চীন ২০০
দক্ষিণ চীন ৩০০
সাগাইং ১০০
উত্তর রাখাইন ৬৫০
*এখানে দেওয়া বৃষ্টির পরিমান একটা গড় ধারনা মাত্র, স্থানভেদে এর পরিমান কিছুটা হেরফের হতেপারে। ও দেশের কোন কোন ক্ষুদ্র এলাকায় কিছুটা বেশি বৃষ্টি হতে পারে ও কোন ক্ষুদ্র স্থানে বৃষ্টি অনেক কম হতে পারে।
নোট : প্রাকৃতিক কারনে বৃষ্টি বলয় ধারা এর সময়সূচি কিছুটা পরিবর্তন ও এর শক্তি কিছুটা হ্রাস, বৃদ্ধি বা বিলুপ্ত হতেপারে।