মোঃ সাজেদুর রহমান স্টাফ রিপোর্টার (নওগাঁ)
নওগাঁর পত্নীতলায় নজিপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে গগনপুর পর্যন্ত ভাঙ্গা, গর্ত এবং চলাচলে অনুপযোগী এই রাস্তাটি সংস্কারের কাজ এলজিইডি কর্মকর্তার গাফিলতির কারণে শুরু হচ্ছে না।
অনুসন্ধানে জানা যায় নজিপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে গগনপুর পর্যন্ত ৫.৪৭ কিলোমিটার রাস্তাটি দীর্ঘ পাঁচ বছর যাবত কোন মেরামত না করায় রাস্তাটির মাঝে মাঝে ভেঙ্গে, ভেঙ্গে গর্ত হয়ে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ে, নজিপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে গনগনপুর শিমুলিয়া ত্রিমনি ঘাট পর্যন্ত এই রাস্তাটি সোজা হওয়ায় এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ভ্যান রিক্সা সহ ভারী যানবাহন চলাচল করে । বর্তমানে রাস্তাটি এত পরিমাণ ভাঙ্গা, মাঝে মাঝে গর্ত হওয়ার কারণে কোন রিক্সা ভান যেতে চায় না পথচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ রাস্তা দিয়ে তিনটি মাদ্রাসা এবং দুইটি প্রাইমারি স্কুলের ছেলেমেয়েসহ প্রতিদিন হাজার হাজার পথচারী চলাচল করে। বিগত ছয় মাস আগে রাস্তাটি মেরামতের জন্য বাবনাবাজ গ্রামবাসী উদ্দগে মানববন্ধন করার পর সড়ক বিভাগ এবং এলজিইডি কর্মকর্তারা নড়েচড়ে বসে।পত্নীতলা উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর আগারগাঁও ঢাকা হতে ০৪/০৫/২০২৫ইং তারিখে ১১,২৮,৬৪,০২১/- এগার কোটি আঠাশ লক্ষ চৌষট্টি হাজার একুশ টাকা ব্যয়ে রাস্তাটি পূর্ণ সংস্কারের প্রকল্প অনুমোদন করে।
প্রকল্পটি অনুমোদনের পরে ২৫/০৬/২০২৫ তারিখে প্রকল্পটির দরপত্র অনুষ্ঠিত হলেও এখন পর্যন্ত রাস্তাটির কাজের কোন দৃশ্যমান অগ্রগতি শুরু হয়নি।
এ বিষয়ে পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ইমতিয়াজ জহুরুল হক বলেন অফিসের কিছু প্রক্রিয়া আছে প্রক্রিয়া শেষ হলে কাজ শুরু হবে।
এলজিইডি নিবার্হী প্রকৌশলী (নওগাঁ) মোঃ তোফায়েল আহমেদ মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উক্ত এলাকার ভুক্তভোগী কাজেম উদ্দিন মুহুরী বলেন প্রতিদিন শুনি রাস্তার কাজ শুরু হবে কিন্তু আমাদের জনদুর্ভোগ শেষ হবে কবে? রাস্তাটি যেহেতু টেন্ডার হয়েছে কাজ শুরু হতে কেন এতদিন দেরি হবে। আর কোন আশ্বাস নয় অতি দ্রুত রাস্তাটির কাজ শুরু করার জন্যে জোর দাবি জানাচ্ছি।