হাসান মোঃ মহসিন কামাল(ষ্টাফ রিপোর্টার)
রংপুর জেলায় পীরগাছা উপজেলার ৩ নং ইটাকুমারী ইউনিয়নে নিকাহ্ ও তালাক রেজিষ্ট্রার মামুন অর রশিদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের কার্যক্রম বন্ধের আদেশ থাকা সত্তেও কোন আদেশের বলে কার্যক্রম চলমান রেখেছেন জানতে চেয়ে নোটিশ করেছেন জেলা রেজিষ্ট্রার।
জানা যায় গত ২০ নভেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোঃ সাইদুজ্জামান স্বাক্ষরিত নিকাহ নামা ও তালাক রেজিষ্ট্রারের লাইসেন্স প্রদানের পত্র যাহার স্মারক নং- ১০০০০০০০.১৩১.১১.০০৯.৮৯-১৯৫ রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলার ০৩ নং ইটাকুমারী ইউনিয়নে মোঃ মামুন অর রশিদ লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় ৩য় স্থানে অবস্থান করার পরেও সাবেক জেলা রেজিস্টার মোঃ রফিকুল ইসলাম ২০,০০০,০০/ ঘুষ গ্রহনের মাধ্যমে পরিক্ষায় প্রথম স্থানে থাকা মোঃ আল আমিন কে ব্যাতি রেখে মামুন আর রশিদ কে লাইসেন্স প্রদান করার জন্য আই জি আর অফিস ও আইন মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠিয়ে তাকে নিয়োগ দিয়ে ২০,০০০,০০/ টাকা হাতিয়ে নেন। পরবর্তীতে প্রথম স্থানে থাকা আল আমিন উক্ত লাইসেন্স এর বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্টে স্থগিতাদেশ চেয়ে রিট করেন যাহার পিটিশন নং ১৫৬৪৫/২৪. এবং মহামান্য হাইকোর্ট উক্ত স্বারক নং এ প্রদানকৃত লাইসেন্স এর বিরুদ্ধে উক্ত নিকাহ্ নামা রেজিষ্ট্রারের যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধের আদেশ প্রদান করে রুল জারী করলেও মোঃ মামুন অর রশিদ ৩ নং ইটাকুমারী ইউনিয়নের নিকাহ্,তালাক রেজিষ্ট্রার সার্টিফাই কপি প্রদান সহ যাবতীয় কার্যক্রম ও নানা রকম দূর্নীতি ও অনিয়ম করে আসছেন। পরবর্তীতে গত-০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং সাবেক জেলা রেজিষ্ট্রার মোঃ রফিকুল ইসলাম চাকুরী হতে অবসর গ্রহন করলে তার কর্মস্থলে জেলা রেজিষ্ট্রার (অতিরিক্ত দ্বায়ীত্ব) হিসেবে যোগদান করেন জনাব সুব্রত কুমার সিংহ তিনি জেলা রেজিষ্ট্রারের দ্বায়ীত্ব পালন করা কালে বিষয়টি তাহার দৃষ্টিগোচর হয় যে মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে স্থগিতাদেশ ও মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় পীরগাছা উপজেলার ৩ নং ইটাকুমারী ইউনিয়নের নিকাহ্ ও তালাক রেজিষ্ট্রার মামুন অর রশিদ যাবতীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। পরবর্তীতে গত-০৯/০৯/২০২৫ ইং তারিখে স্বারক নং ১০,০৫,৮৫০০,০০১,৩২,০০১,২৫-৪৯৭(৩) উক্ত নিকাহ্ রেজিষ্ট্রারকে নোটিশ প্রদানের মাধ্যমে জানতে চান যে ০৩ নং ইটাকুমারী ইউনিয়নে কোন অতিরিক্ত দ্বায়ীত্ব প্রাপ্ত নিকাহ্ রেজিষ্ট্রার না থাকায় আপনি মোঃ মামুন অর রশিদ পিতাঃ-মৃত ফজলুল হক গ্রামঃ-বড়হায়াতখাঁ ডাকঘরঃ-সুন্দর,পীরগাছা,রংপুর কোন আদেশের বলে উক্ত ইউনিয়নে নিকাহ্ ও তালাক রেজিষ্ট্রার কার্য় চলমান রেখেছেন তার প্রমান পত্র অত্র কার্যালয়ে জমা প্রদানের জন্য বলা হলো মর্মে জেলা রেজিষ্ট্রার (অঃদাঃ) জনাব সুব্রত কুমার সিংহ স্বাক্ষরিত নোটিশ প্রদান করেন। এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত নিকাহ্ রেজিষ্ট্রার মোঃ মামুন অর রশিদ মুটোফোনে জানান আমি নিয়োগ প্রাপ্ত বৈধ কাজী জেলা রেজিস্টার কে ২০,০০০,০০/ টাকা ঘুষ দিয়ে সুপারিশ নিয়ে মন্ত্রণালয়ের আরও ১০,০০০,০০/ টাকা ঘুষ দিয়ে নিয়োগ পেয়েছি আমার নিয়োগের পর হাইকোর্টে মামলা হয়েছে আমি বৈধ নিকাহ্ রেজিষ্ট্রার । গত-০৮/০৬/২০২৫ ইং তারিখে কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাটের আলোচিত আনিছুর অপহরন হয় লালমনিরহাট জেলার তিস্তা বাসষ্ট্যান্ড হতে পরবর্তীতে অপহরনকারীরা আনিছুরকে মাইক্রোবাস যোগে পীরগাছা উপজেলার ৩ নং ইটাকুমারী ইউনিয়নের কালীগন্জ বাজারে জৈনক রিন্টু মিয়ার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে অপহরনকারীরা অবরুদ্ধ করে মারপিট করে ও দেশী অস্ত্রের মুখে বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে বরের ইচ্ছার বিরুদ্ধে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিকাহ্ রেজিষ্ট্রার মোঃ মামুন অর রশিদ বিষয়টি জানা সত্তেও শুধুমাত্র মোহরআনা ১৫,০০০,০০/- টাকা রেজিষ্ট্রার বহিতে উঠিয়ে ফাঁকা রেজিষ্ট্রারে জোড় পূর্বক বরের স্বাক্ষর গ্রহন করেন ঐ সময় বর অপহরনের স্বীকার হওয়ার কারনে তাহার সহিত কোন আত্বীয়,বন্ধু- বান্ধব না থাকায় বর পক্ষের কোন স্বাক্ষী/ উকিল উপস্থিত ছিলোনা পরবর্তীতে ঐ সময় নিকাহ্ রেজিষ্ট্রার পুনরায় বরের নিকট জোড় পূর্বক প্রতিটি ১০০/- মুল্যমানের ৯ টি মোট ৯০০/- টাকার ফাঁকা নন-জুডিশিয়াল ষ্টাম্পে স্বাক্ষর গ্রহন করেন। পরবর্তী সময় আপহরনের স্বীকার আনিছুরকে লালমনিরহাট থানা পুলিশ ও উলিপুর থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিক্তিতে গত-১০/০৬/২৫ ইং উক্ত বিয়ের কনে ও অপহরনকারী মোছাঃ আখিঁ আক্তাররে গ্রামের বাড়ী কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার উত্তর সাদুল্যা গ্রাম হতে ঘড়ে বন্দী থাকা অবস্থায় উদ্ধার করে জিম্মায় পরিবারের নিকট হস্থান্তর করেন এবং পরের দিন অর্থাৎ গত- ১১/০৬/২৫ ইং তারিখে আনিছুর রহমান নিজে বাদী হয়ে লালমনিরহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যাহার নং২৫/৩২৯,ধারা-৩৪২/৩২৩/৩৬৫/৩৭৯/৩৮৬/৩৮/৩৪
পেনাল কোর্ড। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন।উক্ত নিকাহ্ নামার বিষয় নিকাহ্ রেজিষ্ট্রারের মুটো ফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান আমি বর পক্ষের কোন স্বাক্ষী/ উকিল পাইনি আমি ঢাকায় আছি বরকে কাবিন নামা বাতিলের আবেদন করতে বলেন আমি গিয়ে সাব-রেজিষ্ট্রার ও জেলা রেজিষ্ট্রারের সাথে কথা বলে অবগত করে বর পক্ষের সাক্ষী না থাকায় আবেদনের ভিক্তিতে কাবিন টি বাতিল করে দিবো। নিকাহ্ রেজিষ্ট্রারের কথার উপর ভিক্তি করে ঐ বিয়ের বর আনিছুর রহমান ও তার বড় ভাই মোখলেছুর রহমানের সহিত যোগাযোগ করে জানা যায় ৩ নং ইটাকুমারী ইউনিয়নের নিকাহ রেজিষ্ট্রার মোঃ মামুন অর রশিদ মোটা অংকের টাকা গ্রহন করার পর তাদের কে গত-২৭/০৭/২৫ ইং নিকাহ্ বাতিলের প্রত্যয়ন ও গত-১৭/০৮/২৫ ইং নিকাহ্ রেজিষ্ট্রার বাতিলের সার্টিফাই কপি প্রদান করেছেন। উক্ত নিকাহ্ রেজিষ্ট্রারের বিরুদ্ধে এমন অনেক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ রয়েছে এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা বাহীনি ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।