
মোহাম্মদ মামুন উদ্দিন ( অনলাইন রিপোর্টার)
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নলচিরা নৌ-ঘাট পরিদর্শনে এসে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন,
“হাতিয়ার মানুষ রাজনীতির শিকার। রাজনৈতিক ব্যক্তিরা এসে ঘাট দখল করে নিজেদের সম্পত্তি মনে করে। এটি আর চলবে না।”
তিনি আরও বলেন, সরকার এ বছর হাতিয়াকে উপকূলীয় নদীবন্দর হিসেবে ঘোষণা করেছে, গেজেটও প্রকাশিত হয়েছে।
“আজ হাতিয়াকে অফিশিয়ালি নদীবন্দর ঘোষণা করছি। অন্তর্বর্তী সরকার হিসেবে আমরা কাজ শুরু করে দিচ্ছি, পরবর্তী সরকার এসে বাকি কাজ চালিয়ে যাবে, বলেন তিনি।
ড. সাখাওয়াত জানান, হাতিয়ার জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল ফেরি ও নদীবন্দর স্থাপন।
তিনি আশ্বাস দেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই ফেরি চালু করা হবে এবং নদীবন্দরের কার্যক্রম পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হবে।
ঢালচর ও মনপুরা নিয়ে চলমান বিরোধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ধান কাটার মৌসুমে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়, এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়। দুই জেলার ডিসিদের যৌথভাবে সমাধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
নলচিরা ঘাটে ইজারাদারদের জুলুম ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ইজারা বাতিলের ঘোষণা দেন এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ঘাট মার্কিংসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।
পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, বিআইডব্লিউটিসি চেয়ারম্যান মো. সলিম উল্লাহ, হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা।