
মোঃ ছায়েদ আলী(শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি)
(২১নভেম্বর) রাত ১১:৩০ ঘটিকা থেকে ১২:০০ ঘটিকার মধ্যে ঘটনাস্থল শ্রীমঙ্গল উপজেলার সুরমাভেলী বৈদ্যতিক মালামাল রাখার ক্যাম্প ও স্টাপ কোয়াটারে, চুরির ঘটনা ঘটে।
ঠিকাদার মোঃ আব্দুল হামিদ জানান আমি মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির একজন ঠিকাদার বটে। আমি আমার কাজের স্বার্থে ঘটনাস্থলে পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির কিছু মালামাল ও আমার কিছু যন্ত্রপাতি ক্যাম্পে রাখি। পাশাপশি আমার অধীনে কর্মরত ১০-১২ জন শ্রমিক ও স্টাফ ক্যাম্পের কোয়াটারে থাকে এবং ছিল। ঘটনার সময়ে অজ্ঞাত নামা ১৫/২০ জন অতর্কিত ভাবে আমার ক্যাম্পে আসিয়া আমার স্টাফগণকে এলোপাথাড়ি ভাবে মারধর করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা-ফুলা জখম করে। তাদের হাতে থাকা ০৪ টি মোবাইল ফোন ছিনাইয়া নেয় এবং বাবুর্চির রবিউল মিয়া নিকট থাকা মেসের ১০,০০০(দশ হাজার) টাকা নিয়ে যায়। শ্রমিকগণকে একটি রোমে আটক করিয়া, অন্য রুমে থাকা মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (১) অনুমান ৯৯,০০০ (নিরানব্বই হাজার) টাকা মূল্যের ৩ ড্রাম, 3D তার০২, অনুমান ৪০০,০০০ (চার লক্ষ) টাকা মূল্যের ০৩টি 25 KVA ট্রান্সফরমার এবং আমার নিজস্ব অনুমান ২৫০০/ (দুই হাজার পাঁচ শত) টাকা মূল্যের ৪টি স্লাই ও ০৪ টি প্লাস, অনুমান (চার হাজার) পাঁচশত টাকামূল্যের ২টি বটি বেল্ট, নিয়ে যায়।
ঠিকাদার মোঃ আব্দুল হামিদ আরও জানান ২২ নভেম্বর সকাল ৮ ঘটিকায় ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পাই শ্রমিকরা একটি রুমে আটকানো। আমি আমার শ্রমিকদের মুক্ত করিলে তাহাদের মাধ্যমে বিস্তারিত জানতে পারি এবং মোবাইল ফোনগুলি আমার অফিস ঘরের সামনে খুঁজিয়া পাই। আমার স্টাপগণকে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা করাই। ঘটনাটি স্থানীয় মুরুব্বিগণ, সাংবাদিক সহ সহকারী ঠিকাদারদের অবগত করিয়া থানায় আসিয়া অভিযোগ দায়ের করি।
শ্রীমঙ্গল থানার এএসআই মুজিবুর রহমান জানান উপরোক্ত ঘটনার বিষয়ে তদন্ত পূর্বক অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারীগণকে সনাক্ত করিয়া তাহাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।