
মো: ইব্রাহিম হাওলাদার বিশেষ প্রতিনিধি
ঢাকার কামরাঙ্গীরচর থানাধীন খলিফাঘাট এলাকায় এক ছেলে ও তার মায়ের ওপর সংঘবদ্ধভাবে বেধড়ক মারধর, শ্লীলতাহানি ও লুটপাটের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে কামরাঙ্গীরচর থানায় একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে অভিযুক্তদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বাদীর বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনার দিন ১২ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ রাত আনুমানিক ৮টার দিকে, কামরাঙ্গীরচর থানাধীন খলিফাঘাট এলাকায় আলাউদ্দিন বিরিয়ানির পাশের ভবনে বাদীর বসতঘরে অভিযুক্তরা সংঘবদ্ধভাবে অনধিকার প্রবেশ করে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা প্রথমে লাথি দিয়ে দরজা খুলে বাদীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং হত্যার উদ্দেশে একপর্যায়ে তাকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে বেধড়ক মারধর করে। বাদী গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তার মা এগিয়ে এলে তাকেও নির্মমভাবে মারধর করা হয়।
এ সময় অভিযুক্তরা বাদীর মায়ের কাপড় টানাহেঁচড়া করে শ্লীলতাহানি করে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম সৃষ্টি করে বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। হামলার সময় বসতঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, অভিযুক্তরা বাদীর পকেটে থাকা একটি স্যামসাং অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন (আনুমানিক মূল্য ২০ হাজার টাকা) জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়। পাশাপাশি বাদীর মায়ের ব্যাগে থাকা নগদ ৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
ঘটনার সময় অভিযুক্তরা বাদী ও তার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বলে—বিষয়টি নিয়ে থানায় গেলে বা কোথাও জানালে তাদের হত্যা করা হবে।
পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে অভিযুক্তরা বাদী ও তার মাকে অজ্ঞ্যান অবস্থায় ঘরে রেখে বাহির থেকে তালা মেরে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। গুরুতর আহত অবস্থায় ছেলে ও তার মাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা শেষে ভুক্তভোগী কামরাঙ্গীরচর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে কামরাঙ্গীরচর থানার এক কর্মকর্তা জানান, অভিযোগটি গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এলাকাবাসীর দাবি, এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হোক।