মোঃ মিলন সরকার ( কালিয়াকৈর উপজেলা প্রতিনিধি: আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় গাজীপুর শিল্প পুলিশের উপ-পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম স্বাধীন সূর্যোদয় এর উপজেলা প্রতিনিধিকে বলেন, সকাল ৭টা থেকে চন্দ্রা ও নবীনগর মহাসড়কের চক্রবর্তী মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন তারা।
গাজীপুর মহানগর কাশিমপুরের সারাবো এলাকায় বেক্সিমকো ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকরা তাদের অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে।
কতজন শ্রমিক সড়কে বিক্ষোভ করছেন জানতে চাইলে রফিকুল বলেন।
এই মুহূর্তে এটা বলতে পারছি না।
মহাসড়কের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিকল্প পথে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।’
বেক্সিমকো ইন্ড্রাস্ট্রিয়ালের বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শ্রমিকরা জানান, বেতন পরিশোধ না করলে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। যত দিন উক্ত বকেয়া বেতন না পাবেন, ততদিন বাসায় ফিরবেন না বলে দাবি করেন তারা। আজকে নিয়ে পাঁচদিন ধরে আন্দোলন করছি। আমরা এখনো কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বকেয়া বেতন পাওয়ার কোনো আশ্বাস পাইনি।
অভিযোগ রয়েছে, শ্রমিকেরা গণমাধ্যম কর্মীদের তাদের আশেপাশে থাকতে দিচ্ছেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার একজন স্থানীয় বাসিন্দা
স্বাধীন সূর্যোদয় প্রতিনিধিকে বলেন, আজ শ্রমিকেরা খুব বেশি উত্তেজিত হয়ে পড়েছে। বহিরাগত কাউকে দেখলেই মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙে ফেলছে। তা ছাড়া গত দেড় বছরে অর্ডার কম থাকাসহ নানা কারণে ২৭০টি ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে গেছে। সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুরে শ্রমিক অসন্তোষের কারণে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ অর্ডার অন্য দেশে চলে গেছে। তাই গার্মেন্টস সেক্টরকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে এই খাতে স্থিতিশীলতা জরুরি।
পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শ্রমিকদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছে।
শিল্প পুলিশ জানায়, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে পোশাক ও সিরামিক কারখানায় ৪১ হাজার কর্মী রয়েছেন। তাদের মধ্যে পোশাক কারখানার শ্রমিকরা সপ্তাহখানেক ধরেই সড়ক অবরোধ করে গত অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি জানাচ্ছেন।
গতকাল সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা। রাতে অবরোধ তুলে নিলেও আজ পঞ্চম দিনের মতো সকাল থেকে পুনরায় ওই সড়ক অবরোধ করে বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি জানাচ্ছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে বেক্সিমকো ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল পার্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মোবাইলে কল করেও কাউকে পাওয়া যায়নি।