যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরের প্রয়াসে সৌদি আরব ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার শর্ত পুনর্বিবেচনা করছে। অতীতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনে ইসরায়েলের অঙ্গীকার গ্রহণযোগ্য হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিল রিয়াদ। তবে গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলার প্রেক্ষিতে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ইসরায়েলকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়ার শর্ত পুনরায় আরোপ করেছেন বলে জানিয়েছে রিয়াদ ও পশ্চিমা কর্মকর্তারা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মেয়াদের মধ্যে সৌদি-যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা চুক্তি সম্পাদনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও, বিষয়টি সীমিত সামরিক সহযোগিতায় সীমাবদ্ধ হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। চুক্তির আওতায় যৌথ সামরিক মহড়া, সাইবার নিরাপত্তা ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা জোরদার করার বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তবে এটি জাপান বা দক্ষিণ কোরিয়ার মতো বাধ্যতামূলক প্রতিরক্ষা চুক্তি হবে না।
গালফ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান আবদুলআজিজ আল-সাগর মন্তব্য করেছেন, সৌদি আরব একটি নিরাপত্তা চুক্তি পাবে যা মার্কিন অস্ত্র বিক্রয় ও সামরিক সহযোগিতা বাড়াবে, তবে এটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিরক্ষা চুক্তি হবে না।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ এই পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। ট্রাম্প প্রশাসন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবি উপেক্ষা করে ‘শতাব্দীর চুক্তি’ পরিকল্পনা সামনে এনেছিল। এতে ইসরায়েলকে অধিকৃত পশ্চিম তীরের ভূমি দখলের বৈধতা দেওয়া হয়েছিল। ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার সৌদি যুবরাজের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় এই পরিকল্পনা পুনরুজ্জীবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে কূটনীতিকরা আশঙ্কা করছেন
রিয়াদ-ওয়াশিংটন চুক্তি স্থগিত থাকলেও, সৌদি কর্মকর্তারা ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের প্রতি অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। রিয়াদের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ফিলিস্তিনের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার উপেক্ষা করে মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতা সম্ভব নয়।
গাজার সংঘাতের পটভূমিতে সৌদি নেতৃত্ব ইসরায়েলি সামরিক কার্যক্রমকে ‘গণহত্যা’ বলে উল্লেখ করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, গাজা যুদ্ধের পর পরিস্থিতি বদলাতে পারে। বিশেষ করে যদি ইসরায়েলে নতুন কোনও সরকার গঠিত হয়