মোহাম্মদ মামুন উদ্দিন(অনলাইন রিপোর্টার) নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় লঞ্চ ঘাটের নিয়ন্ত্রণ নিতে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের পর আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়, যেখানে লায়লা বেগম নামের এক নারীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জেলা সদরে পাঠানো হয়েছে।
তমরুদ্দি লঞ্চঘাটের ইজারাদার ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মাওলা কাজল। তবে গত ৫ আগস্টের পর বিএনপি নেতা আলমগীর তার নেতৃত্বে ঘাটের নিয়ন্ত্রণ নেন। পরবর্তীতে গোলাম মাওলা কাজল ও আলমগীরের মধ্যে সমঝোতা হলে, এককভাবে ঘাট নিয়ন্ত্রণ করতে থাকেন আলমগীর।
কিন্তু তমরুদ্দি ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি তানভীর হায়দার এ নিয়ন্ত্রণ মেনে নিতে পারেননি এবং দীর্ঘদিন ধরে ঘাট দখলের চেষ্টা করছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে তানভীর হায়দারের অনুসারীরা ঘাটের দখল নিতে দলবল নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন। এতে আলমগীরের সমর্থকরা তাদের বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। স্থানীয় শ্রমিকদের পরিবারের নারী-পুরুষও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
সংবাদ পেয়ে পুলিশ, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে রয়েছেন লায়লা বেগম, কামরুল ইসলাম, আকলিমা বেগম, নাফিসা বেগমসহ আরও কয়েকজন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় লায়লা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সদরে পাঠানো হয়েছে।
বিএনপি নেতা আলমগীর সংঘর্ষের ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে বলেন, “ঘাটের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। তবে প্রতিদিনের আয়ের ৪২ শতাংশ ইজারাদার গোলাম মাওলা কাজল নিয়ে যান।”
অন্যদিকে, বিএনপি নেতা তানভীর হায়দার গণমাধ্যমকে জানান, আলমগীর দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে সমঝোতা করে ঘাটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রেখেছেন। সংঘর্ষ নিয়ে তিনি কোনো স্পষ্ট বক্তব্য দেননি এবং ফোনে কথা বলতে রাজি হননি।
হাতিয়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) খোরশেদ আলম জানান, “তমরুদ্দি ঘাট নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুজন আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”
বর্তমানে তমরুদ্দি লঞ্চঘাট এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, যাতে আর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।