মুহাম্মদ তোয়াহার উদ্দিন (স্টাফ রিপোর্টার)
বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় তথা গ্রাম থেকে শুরু করে ইউনিয়ন, পৌরসভা, উপজেলা, জেলা এবং জাতীয় নানা ধরনের বেশ কিছু পারিবারিক, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় সমস্যা ব্যাধি আকারে বিরাজমান। এ ক্ষেত্রে গ্রাম প্রর্যায়ে বা বিভিন্ন ওয়ার্ড পর্যায়ে এ সমস্যা বেশ লক্ষ্যনীয়। যখন দেখি সালিসি বিচারে পড়শির মুরুব্বিরা বসে সমাধানের চেষ্টা করলে স্থানীয় তৃণমূল নামের বিভিন্ন দলের অতি উৎসাহী ক্ষুদে নেতৃবৃন্ধ বিবাদ বা বিরোধ সৃষ্টি করে সমাধানের ক্ষেত্রে প্রথম বাধা হয়ে দাঁড়ায় কারো পক্ষের উপটোকন নিয়ে। পরে সেই সালিশ যায় ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্ধের কাছে।সেখানেও বাধা হয় আবার পৌরসভা বা উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্ধেরা। তারা যখন শালিসি বৈঠকে বসে আবার বাধা হয় জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্ধের বাধা আসে। এভাবেই ভুক্তভোগীরা বা বিচার প্রার্থীরা হয়রানির স্বীকার হতেই থাকে দিনের পর দিন। বিচারিক আদালতে এমনতর হয়রানির স্বীকার হলেও ভুক্তভোগীরা এক সময় ন্যায় বিচার পায়।কিন্তু স্থানীয় পর্যায়ে যারা বিচারক হিসেবে আসে, তারা কারো না কারো পক্ষ হয়েই আসে। ফলে তাদের পক্ষে ন্যায় বিচার করা বা ভুক্তভোগীদের ন্যায় বিচার পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। সর্বশেষ অনেকে আবার ইন্ধনকারী হিসেবে জাতীয় নেতৃবৃন্ধের কাছে পাঠায় বা নিজ উদ্দ্যোগে দ্বারস্থ হয়। তখনই জাতীয় নেতৃবৃন্দরা বুঝে নেয় তৃণমূলের প্রতিটা সেক্টরে এক এক জন অত্যন্ত প্রভাবশালী, প্রতাপশালী নেতা এবং দুর্নীতিগ্রস্থ । এমনতর পরিস্থিতির জন্য মুলত দায়ী মধ্যম সারির কিছু লোভী মন মানসিকতা সম্পন্ন রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের। এ রকম পরিস্থিতি যতদিন বিরাজিত থাকবে পরিবারে, সমাজে সর্বোপরি রাষ্ট্রে কখনো ন্যায় বিচার সু শাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। আর তাই তৃণমূলের নেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে তার পরিবারিক স্বচ্ছতা, সামাজিক অবস্থান নৈতিক গুণাবলি, সামাজিক মূল্যবোধ ইত্যাদি দেখেই নেতা নির্বাচন করা উচিৎ হবে উত্তম প্রক্রিয়া। অনেকে বলে আমি অমুখ নেতার আত্মীয়, অমুখের ভাই, মামা,খালা ইত্যাদি ইত্যাদি।
আর যাদের সেই রকম পরিচয় নাই তারা সামাজিক, স্থানীয় শালিসি বিচারে হেরে যায়। এখানে মানবতারো হার হয়।এভাবেই হারতে থাকে মকছুদ মিয়ার, অরাজনৈতিক ব্যাক্তিদের আইল্লার ফুফাতো ভাই, মামাতো ভাইয়েরা। তাদের দীর্ঘশ্বাসে সৃষ্টির অনন্য প্রাকৃতিক সম্পদ যেমন বাতাস দূষিত হয়, আল্লাহর দরবারে ন্যায় বিচারের নালিশ দেয়। কোন এক সময় সৃষ্টি কর্তা দুনিয়াতেই সেই ফরিয়াদের বিচার করে। যা আমরা দেখিনা।অনুভবের ক্ষমতা থাকলে ঠিকই বুঝে।
সবিশেষ, তৃণমূল থেকে শুরু করে মধ্যম সারির এবং সর্বোচ্চ কেন্দ্রীয় নেতা পর্যন্ত সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্ধের মাঝে সঠিক ভাবোদয় না হলে ন্যায় ভিত্তিক সমাজ, রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা কখনো সম্ভব নয়। তাই স্থানীয় বিচারের হস্তক্ষেপ হোক ন্যায় ভিত্তিক ।গরীব দু:খী মেহনতী মানুষের দীর্ঘশ্বাস কারো উপরে না পুড়ুক সেই দিক নির্দেশনা যেন কেন্দ্রীয় নেতাদের দিক নির্দেশনা থাকে। শোষিত জনগণের এই প্রত্যাশা এখন জনে জনে।