মোঃ ছায়েদ আলী (শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি)
অদ্য ২৭ এপ্রিল ২৫ ইং রোজ রবিবার
সাধারণ চা শ্রমিকের ঘরে ছেলে বিষ্ণু হাজরা রাজু, (৪০) পরিবারিক অভাব-অনটন সত্ত্বেও ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য প্রতি ছিল গভীর আগ্রহ। কিন্তু দারিদ্র্যতা আর অভাব অনটনের কারনে সে ঝড়ে পড়ে যায়।
বিষ্ণু হাজরা রাজু এস এস সি পযর্ন্ত পড়ালেখা করেন।বর্তমান সে ও চা বাগানে শ্রমিকের কাজ করেন এবং পাশাপাশি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি চালিয়ে যান বিভিন্ন এলাকায় মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্টানে, এবং বিভিন্ন স্কুল-কলেজে ছাত্র, ছাত্রীদের মাঝে গাছের চারা বিতরন করেন।
বিষ্ণু হাজরা রাজু বলেন, বিশিষ্ট ব্যক্তি বরগুন , সাথে সৌজন্য সাক্ষাতকারে গাছের চারা উপহার নিয়ে যায়।
তাছাড়াও বিয়েতে, জন্মদিন, অন্নপ্রাশনসহ বিভিন্ন সামাজিক কাজে গাছের চারা উপহার হিসেবে দেই।
আমার শ্লোগান হচ্ছে আজকের এই ছায়াবৃক্ষ আগামি বিশ্বের রক্ষাকবচ জলবায়ুর উন্নয়ন ও পরিবেশ নিয়ন্ত্রনে সহায়ক।আবাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তুলতে হলে বৃক্ষায়নের কোন বিকল্প নেই।আসুন আমরা সবাই মিলে গাছ লাগাই তাপদাহ অনাবৃষ্টি খরা অধিকবৃষ্টি ও বজ্রপাতের হাত থেকে পরিবেশ ও মানুষের জীবন বাচাই।
পিতা, প্রেমলাল হাজরা, বলেন আমাদের গ্রাম: ভাড়াউড়া চা বাগান, আমার পেশা চা শ্রমিক আমি যে টাকা বেতন পায় তার পুরোটাই ব্যয় করতাম আমার ছেলে, মেয়েদের পড়ালেখার পিছনে বর্তমান আমি অবসরপ্রাপ্ত।
আজ স্থানীয় মানুষের মুখে ছেলে সুনাম শুনে নিজের কাছেও ভালো লাগে , সামাজিক কাজ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি করে।
রাজু লক্ষ্য হচ্ছে বর্তমান বৈষ্ণিক উষ্ণায়নের ফলে, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমান বৃদ্ধি, এগুলো কমিয়ে আনা এবং জলবায়ুর উন্নয়ন ও পরিবেশ নিয়ত্রনে রাখা। তবে সরকারিভাবে গাছের চারা সহযোগিতা করলে তার লক্ষ্যও স্বপ্ন পুরন আরো সহজ হতো।