মোঃ রায়হান মিয়া,কচুয়া (চাঁদপুর)প্রতিনিধি
অজপাড়া গ্রামে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আবেদ আলী একাডেমী বিদ্যালয়,তখন থেকে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের রোদ-বৃষ্টি, ঝড়-তুফানেও পাঠদান দিতে হয় টিনশেড ঘরে। যার ফলে দিনদিন শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। ছোট-ছোট শ্রেণি কক্ষে পাঠদান দিতে চরম হিমশিম খেতে হয় শিক্ষকদের।
অন্যদিকে স্কুলটি একটি মাটির রাস্তার পাশে অবস্থিত। সীমানা প্রাচীর না থাকায় যেকোনো সময় সড়ক দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
এছাড়া শিক্ষক ও এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি বিদ্যালয়টি জাতীয় করণ ও একটি পাকা ভবন তৈরি করার জন্য।
স্কুলটি চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ৬নং কচুয়া উত্তর ইউনিয়নের বৃহত্তর তেতৈয়া দক্ষিণ পাড়ায় অবস্থিত। স্কুলটির নাম তেতৈয়া আবেদন আলী একাডেমী ।
স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিদ্যালয়টি ১৯৯৬ সালে স্থাপিত হয়। বিদ্যালয়ে ১৩০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের চারকক্ষ বিশিষ্ট টিনশেড ঘরে পাঠদান দেওয়া হয়। বৃষ্টি আসলে পাঠদান নিয়ে কষ্ট হয়। রোদ-গরমে ক্লাস করতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা। গরমের কারণে অনেক শিক্ষার্থী স্কুলেও আসতে চান না। দ্রুত একটি নতুন ভবন হলে শিক্ষার্থীরা পাঠদানে সুবিধা হবে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফয়সাল ও আব্দুল্লাহ জানায়, আমরা খেলা ধুলা করতে গিয়ে মাঠের পাশে গর্তে পড়ে গিয়ে ব্যথা পাই।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মোতালেব প্রধান, আক্তার প্রধান, নাছির আমিন,মাওঃ হাবিবুর রহমান আক্ষেপ করে বলেন, আমার চাচা আবেদ আলী ৬২ শতাংশ জমি একাডেমীর নামে ওয়াকফো করে দেন। এই এলাকাটি গরিব যার জন্য নতুন একটি পাকা ভবন করা সম্ভব না, আমরা গ্রামবাসী এই স্কুলটি জাতীয় করন, একটি পাকা ভবন ও স্কুলের পাশে গর্ত ভরাট করে দেওয়ার জন্য সরকার প্রধানের নিকট অনুরোধ রইলো।
ওই গ্রামের স্থানীয় যুবদলের সহ-সভাপতি ডাঃ সালাউদ্দিন সরকার বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বেশির ভাগই দরিদ্র ফ্যামেলির মাসে মাসে বেতন দিয়ে পড়াশোনা করার মতো অবস্থা নেই। তাই বিদ্যালয়টি জাতীয় করণ ও নতুন ভবন একান্ত প্রয়োজন।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষিকা সালমা বেগম বলেন,ঝড়-বৃষ্টিতে ক্লাস নিতে আরও দুর্ভোগে পড়তে হয়। এছাড়াও দিনদিন ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা একেবারে কমে যাচ্ছে। নতুন একটি ভবন ও জাতীয় করণের আশায় আমরা আছি।
এ ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম আকতার হোসাইন মজুমদার বলেন, বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে জমি আছে এই বিদ্যালয়ে কারিগরি শিক্ষা চালু করা হয় তাহলে কয়েকটি ইউনিয়নের অসহায় পরিবারের সন্তানরা কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষিত হয়ে দেশ ও নিজের পরিবারের আত্মনির্ভরশীল হতে পারবে।