স্টাফ রিপোর্টার
গাজীপুর কালিয়াকৈর চন্দ্রা রেঞ্জের অধীন বোয়ালী বিটের আওতায় নলুয়া সাব বিটের বেশ কয়েকটি আকাশমনির বাগান বিনা টেন্ডারে বোয়ালী বিট কর্মকর্তার মৌখিক নির্দেশে নলুয়া সাব বিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফরেস্ট গার্ড আলমগীরের মাধ্যমে কর্তন করা হয় বলিয়া স্থানীয় সূত্রে প্রকাশ। ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে নির্ধারিত স্থানে গিয়ে দেখা যায় এখানে শাহেদ আলী ও সোহরাব শিকদার, শাহিন মাস্টারের বাগানসহ বেশ কয়েকটি বাগানের গাছ কোন প্রকার টেন্ডার ছাড়াই কেটে সাবার করে গাছের মূল শিকড় উপরে ফেলে নিশ্চিহ্ন করা হয়, তাছাড়া ৫ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি ও তার সহযোগী আব্দুল মজিদ আব্দুল লতিফ বনের ভিতরে মাটি কেটে বনের শত শত আকাশমনিন গজারি গাছ কেটে রাস্তা নির্মাণ করে মাটি পাচারের উদ্দেশ্যে এক জায়গায় পাহাড়সম স্তুপ দিয়ে রেখেছে। এই মাটি বিভিন্ন জায়গায় সাপ্লাই হচ্ছে, বিষয়টি চন্দ্রা রেঞ্জ কর্মকর্তাকে ভিডিও সহ অবগত করা হলে তিনি ঘটনা সত্যতা যাচাই না করে প্রতিবেদকের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমেই মোবাইলে রুদ্র মূর্তিতে কথা বলেন তারপর মেসেজের মাধ্যমে সতর্ক করেন এ ব্যাপারে যেন কোন প্রকার উচ্চবাচ্য না করা হয়, করলে বিপদ আসন্ন কারণ হিসেবে বলেছেন সিন্ডিকেট টির অলক্ষে প্রভাবশালী মহলের হাত রয়েছে, তাদের ইশারায় অনেক কিছু ঘটে যেতে পারে আপনি শত নিউজ করলেই তাদের কিছুই হবে না রেঞ্জ কর্মকর্তার এমন মন্তব্য অনেক কিছুই জানান দিচ্ছে । তবে বন ধ্বংসের মহোৎসবে মেতে উঠা বিট কর্মকর্তা ইউনুস মিয়ার বিরুদ্ধে টেন্ডার ছাড়া সুফলের বহু বাগান কেটে ফেলার স্থানীয় সাধারণ মানুষের যে অভিযোগ তাহা দামাচাপা দিতে স্থানীয়দের উপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করিয়াছে বলিয়া ভুক্তভোগীদের নিকট থেকে জানা যাচ্ছে । এছাড়া বনের জায়গায় মাছের খামার গড়ার নৈপত্তে কারিগর মাছ চাষীদের সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছে এমন দুর্নীতির বহু অভিযোগ থাকলেও অদৃশ্য শক্তির ছায়ায় তিনি আরও মহাশক্তিতে রূপান্তরিত হয়েছেন। বিট কর্মকর্তা ইউনুস মিয়া চন্দ্রা রেঞ্জ কর্মকর্তার নিজ এলাকার লোক হওয়ার সুবাদে ইউনুস মিয়ার অভিযোগ কিংবা পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের বিষয়াদী আমলে না নিয়ে সাংবাদিকরা নিউজ করার জন্য উল্টো তাদের উপর চৌড়াও হচ্ছেন ।নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানা যায় বিগত দিনে ডিএফ ও সাজ্জাদ হোসেন এমনই অভিযোগে তাহার বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন দায়ের করিলে এরই সূত্রে বোয়ালী বিট অফিস থেকে তাকে টাঙ্গাইলে বদলি করা হয়, কিন্তু বদলির দশ মাস পরেও এখনো উক্ত বিটে অদৃশ্য শক্তির বৌদলতে বহাল তবিয়তে আছেন। বর্তমানে পরিবেশবাদীগণ উল্লিখিত বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন মহলের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।