মোহাম্মদ মামুন উদ্দিন (অনলাইন রিপোর্টার)
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ) ঘোষিত ‘শিক্ষা জাতীয়করণ’ কর্মসূচিতে সন্ত্রাসী হামলা এবং সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি জনাব শেখ কাওছার আহমেদ-এর গ্রেফতারের ঘটনায় দেশজুড়ে শিক্ষক সমাজের মাঝে চরম ক্ষোভ ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে সারাদেশব্যাপী সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন করছেন। এরই অংশ হিসেবে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অন্তর্গত এবং হাতিয়া উপজেলার অন্যতম স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আবদুল মোতালেব (এএম) উচ্চ বিদ্যালয়-এও আজ পালন করা হয়েছে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক পরিষদের পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র শিক্ষক জনাব বিমান চন্দ্র দে এবং শিক্ষক পরিষদের সম্মানিত সেক্রেটারি জনাব মো. সাইফুল্লাহ। তাঁরা বলেন,
“শিক্ষা জাতীয়করণ শুধুমাত্র শিক্ষক সমাজের নয়, এটি সমগ্র দেশের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য সময়োপযোগী ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দাবি। আজ দেশের লক্ষ লক্ষ শিক্ষক তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। অথচ এর বিপরীতে যারা হামলা চালিয়েছে এবং কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করেছে, তাদের কার্যক্রম গণতন্ত্র ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে স্পষ্ট আঘাত।”
তাঁরা আরও বলেন, “আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একইসাথে আমাদের দাবি মানা না হলে এবং অবিলম্বে কেন্দ্রীয় সভাপতির নিঃশর্ত মুক্তি না দিলে আন্দোলনের পরিধি আরও বিস্তৃত হবে। শিক্ষক সমাজ এখন আরও ঐক্যবদ্ধ, আরও সচেতন।”
উক্ত কর্মবিরতি চলাকালে বিদ্যালয়ে ক্লাস কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ ছিল। শিক্ষকদের হাতে দেখা যায় বিভিন্ন প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার, যেখানে লেখা ছিল – “শিক্ষা জাতীয়করণ এখনই চাই”, “শিক্ষকের সম্মান রক্ষা কর”, “শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা কেন?” ইত্যাদি স্লোগান।
জাতীয়করণ আন্দোলনের এই ধারাবাহিক কর্মসূচিতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মতো দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার শিক্ষকরাও সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছেন—এটি বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।