মুহাম্মাদ রাকিব, পটুয়াখালী প্রতিনিধি
বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী বাজারে এ ঘটনা ঘটে ভুক্তভোগী সোহেল ফকির মুমূর্ষ অবস্থায় বর্তমানে পটুয়াখালী সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সার্জারী বিভাগে ভর্তি রয়েছে। আহত সোহেল ফকির জানান, আজ (শনিবার) দুপুর তিনটায় বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলা গুলিশাখালী ইউনিয়নের গুলিশাখালী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। তার অভিযোগ বিগত তিন মাস আগে গুলিশখালীর জেলেপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম আমার কাছে এক লক্ষ টাকা ধার চেয়েছিল আমার দিতে সামর্থ্য না থাকায় টাকা দিতে না পারলে বিভিন্ন সময় আমাকে খুন জখমের হুমকি দিয়ে আসছিলো। সর্বশেষ এক মাস আগে ইব্রাহিম, আলাউদ্দিন, মনির ঘরামি, ফাতাউল্লাহ সহ ৮-১০ জন লোক গুলিশাখালী বাজারে বসে আমার পথ রোধ করে আমার কাছে আড়াই লক্ষ টাকা চায় যদি আমি এক মাসের মধ্যে টাকা না দেই তাহলে আমাকে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলে এরই জের ধরে আজ ইব্রাহিম, আলাউদ্দিন, মনির ঘরামি, ফাতাউল্লাহ সহ ৩০- ৪০ জন লোক মোটরসাইকেল যোগে এসে দেশীয় অস্ত্র দা, বগি, কুড়াল, ছেনা নিয়ে এসে গুলিশাখালী বাজারে আমার দোকানে এসে আতর্কিত হামলা চালায়। আমি দৌড়ে পালিয়ে যেতে চাইলে আলাউদ্দীন, ইব্রাহিম বগি দিয়ে আমার মাথায় কোপ দেয় আমি মাটিতে পড়ে গেলে তারা হাতুড়ি, রড দিয়ে পিটায়। ভুক্তভোগী সোহেল ফকিরের স্ত্রী সীমা বেগম জানান, আমি খবর পেয়ে দৌড়ে বাজারে গিয়ে দেখি আমার স্বামী হুশহীন অবস্থায় পড়ে আছে পরে আমতলী হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে নিলে বাধাগ্রস্ত হই পরে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে এমারজেন্সিতে আমার স্বামীর মাথার সেলাই চলা অবস্থায় মনির ঘরামি এসে আমার স্বামী ও আমাদের মারধর ও জখম করার হুমকি দিয়ে মামলা না করার জন্য বলেন। বিষয়টির সত্যতা আহত সোহেল ফকিরের সাথে থাকা তার ভাই সবুজ ফকির, চাচা রিয়াজ মৃধা, ইব্রাহিম মৃধা, জহুরুল ফকির, বোন রুমা বেগম, জরুরি বিভাগের কর্মচারীরা নিশ্চিত করেছেন। বরগুনা জেলা প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠ বিচার ও পরিবারের নিরাপত্তা চান সোহেল ফকির।