মোহাম্মদ মামুন উদ্দিন ( অনলাইন রিপোর্টার)
নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ২০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিকে ২৩ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দীর্ঘদিন প্রকৃত নাম-ঠিকানা গোপন রেখে রাজধানীতে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার ফার্মগেট এলাকার একটি হোটেল থেকে গোপন অভিযানে তাকে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামির নাম জসিম উদ্দিন (পিতা: ছায়েদুল হক), বাড়ি নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের শুল্যকিয়া গ্রামে।
হাতিয়া থানার এসআই মিনহাজুল আবেদিন জানান, ১৯৯১ সালে জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে একটি জিআর মামলা দায়ের হয়। দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০০২ সালে আদালত তাকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। কিন্তু সাজা কার্যকর হওয়ার আগেই তিনি আত্মগোপনে চলে যান। গ্রেপ্তার এড়াতে নিজের নাম পরিবর্তন করে “গিয়াস উদ্দিন” পরিচয়ে জীবনযাপন শুরু করেন। এমনকি ঢাকার একটি এএম উচ্চ বিদ্যালয়ে টানা পাঁচ বছর খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করেন।
এসআই মিনহাজুল বলেন, “তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তার আসল পরিচয় উদঘাটন করা সম্ভব হয়। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে ঢাকার ফার্মগেট এলাকার একটি হোটেল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।”
আজ শুক্রবার দুপুরে জসিম উদ্দিনকে নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি একেএম আজমল হুদা) বলেন,
গ্রেপ্তার আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। হাতিয়া থানা পুলিশ নিয়মিত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে। অপারেশন ‘ডেভিল হান্ট’-এর আওতায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি, অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অভিযান অব্যাহত থাকবে।”