সেলিম হোসেন মায়া (খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি):
পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির পানছড়িতে বিরোধপূর্ণ জমির মালিকানা বুঝিয়ে দিতে গিয়ে বিএনপি-র দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৩ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার ( ০৯ আগষ্ট) দুপুর বারোটার দিকে উপজেলার উল্টাছড়ি ইউনিয়নের ওমরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে, জিয়ানগর গ্রামের মোঃ আবুল কাসেম ১৫ বছর পূর্বে ওমরপুর এলাকায় মোঃ আবুল কালাম এর কাছ থেকে জমি কিনে বাগান সৃজন করে । পরবর্তীতে প্রতিবেশী মোঃ রুহুল আমিন উক্ত জমি দাবী করলে বিভিন্ন সময় শালিস হয়েছে। এক পর্যায়ে মোঃ আবুল কাসেম স্থানীয় প্রশাসনের দারস্থ হলে গ্রাম্য আদালতে স্থানীয় ইউপি কার্যালয়ে মিমাংসার জন্য গত ৪ আগষ্ট শালিস হয় এবং ৯ আগষ্ট শনিবার উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে সীমানা নির্ধারণ করার দিন ধার্য্য করে। সেখানে সীমানা ও জমি বিরোধ নিয়ে কথা কাটাকাটির সময় মোঃ নুর ইসলাম (২৭)কে চড় থাপড় দেয়। পরে নুর ইসলাম দলবল নিয়ে স্থানীয় প্যানেল চেয়ারম্যান ও উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি আবুল হাসেম, উপজেলা বিএনপি-র সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ ভূইয়াকে মারধোর করে আহত করে। নুর ইসলাম উপজেলা মহিলা দলের সভানেত্রী জাহানারা বেগমের ছেলে ও সেচ্ছাসেবক দলের কর্মী বলে জানা যায়। আহত বিএনপি’র তিন নেতা পানছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, জমি সীমানা নির্ধারণ করতে গেলে কথাকাটা কাটির এক পর্যায়ে নুর ইসলাম তার দলবল নিয়ে আক্রমন করে।
নুর ইসলামের কাছে জানতে চাইলে বলেন,বাজার থেকে ইসমাইল এবং মাসুদ ওমরপুর গ্রামে চাঁদাবাজি করতে যাওয়ায় আমি রুখে দাঁড়াই।সে কারনে আমাকে অন্যায় ভাবে মারধর করছে এবং লজ্বাস্থানে লাথি দিয়ে আমাকে বেহুশ করে ফেলা হয়েছে।এলাকাবাসী আমাকে উদ্ধার করে সুস্থ করে। পরে আমি আমার কিছু লোকজন নিয়ে তাদেরকে মারধর করি।
বিএনপির দুগ্রুপে এমন উত্তেজনা পরিস্থিতি সম্পর্কে উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউসুফ আলীর কাছে জানতে চাইলে বলেন, এ বিষয়ে আমরা অবগত ছিলাম না। অপরাধী যেই হোক তার শাস্তি হবে।
পানছড়ি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, বর্তমান এলাকা শান্ত করা হয়েছে। মামলা হলে তদন্ত মুলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।