গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি:
রাজনীতি মানেই শুধু ক্ষমতার লড়াই নয়, রাজনীতি হতে পারে আদর্শ, ত্যাগ ও সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি। সেই প্রতিচ্ছবির বাস্তব রূপ হয়ে উঠেছেন গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আহমেদ হুমায়ুন জামাল।
দলের দুঃসময়ে রাজপথে থেকে সাহসী নেতৃত্ব দেওয়া থেকে শুরু করে গণমানুষের অধিকার আদায়ে অটল ভূমিকা সবকিছুতেই তার উপস্থিতি প্রমাণ করেছে, রাজনীতি এখনও হতে পারে পরিচ্ছন্নতার প্রতীক।
আহমেদ হুমায়ুন জামালের শিকড় রাজনৈতিক ঐতিহ্যের সঙ্গেই গভীরভাবে জড়িত। তার বাবা ফয়জুল হাসান এমএলএ ছিলেন বৃহত্তর জৈন্তার এক গৌরবোজ্জ্বল সন্তান। তিনি শুধু একজন জনপ্রতিনিধিই ছিলেন না, বরং ছিলেন কবি, সাহিত্যিক ও ইতিহাসচর্চক। বৃহত্তর জৈন্তার ইতিহাস-ঐতিহ্য তিনি তার লেখনীতে অমর করে রেখেছেন। সেই গুণী মানুষের সন্তান হুমায়ুন জামাল শৈশব থেকেই রাজনৈতিক আবহে বেড়ে ওঠেন, যা তাকে পরিণত করেছে সংগ্রামী নেতৃত্বে।
হুমায়ুন জামালের রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয় ছাত্র রাজনীতির হাত ধরে। ১৯৯৬ সালে তিনি গোয়াইনঘাট উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে। তার নেতৃত্বগুণ, সততা ও নিবেদনের ফলেই ২০০৩ সালে তিনি উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্ব পান। একই সময়ে তিনি সিলেট জেলা ছাত্রদলের সদস্য হিসেবেও কাজ করেন।
দীর্ঘ সংগ্রাম, আন্দোলন ও দলের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা তাকে রাজনৈতিকভাবে তৈরি করেছে নেতাকর্মীদের কাছে আস্থার প্রতীক হিসেবে। ২০২২ সালে আহমেদ হুমায়ুন জামালকে গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক নির্বাচিত করা হয়। এরপর থেকে তিনি দায়িত্বশীল, সাহসী ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতির দৃষ্টান্ত স্থাপন করে আসছেন।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান একটি উল্লেখযোগ্য অধ্যায়। সেই আন্দোলনে গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলকে সক্রিয় ও সংগঠিত রাখতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন আহবায়ক হুমায়ুন জামাল। রাজপথে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি তিনি নেতাকর্মীদের অনুপ্রাণিত করেছেন সংগ্রামে অংশ নিতে। তার নেতৃত্বে গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের অবস্থান ছিল অনন্য ও