মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মানুষ মানুষের জন্য একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারেনা বলছিলাম অজ্ঞাত চা বাগানের বৃদ্ধ এক জন অসহায় মহিলার কথা। যিনি আজ থেকে ৩ মাস আগে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেস এর বারান্দায় বিনা চিকিৎসা পড়েছিলেন ময়লা আবর্জনা মধ্যে। প্রস্রাব ও পায়খানা পোকামাকড় ভরা ছিল উনার গায়ে। তখন একদল স্বেচ্ছাসেবী এই মহিলাকে গোসল করি হসপিটালে ভর্তি করে দেখাশোনা করে আসছে। উনি বর্তমানে বেশি অসুস্থ থাকা মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাকে হাসপাতালে মেডিসিন ওয়ার্ডের ১২নং বেডে ভর্তি করা হয়। এর আগে তিনি কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ছিলেন।জানা গেছে, প্রায় তিন মাস ধরে নিলা ভাউরীর নামে এ মহিলার দায়িত্ব পালন করছেন নিরাপদ সড়ক চাই কমলগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি, সোসাইটি অব জাতীয় গণমাধ্যম কমিশন মৌলভীবাজার জেলার সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মোঃ আব্দুস সালাম, বাংলাদেশ চা শ্রমিক নারী ফোরামের আহ্বায়ক ও চা শ্রমিক অধিকার আন্দোলন পরিষদের নেত্রী গিতা রাণী কানু,মোঃ রিপন মিয়া,ইয়াকুব মিয়া,রাজন মিয়া,শাহিন মিয়া,সোলেমান, সাইদুল প মালিক মিয়া সহ আরো বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের ব্যক্তিবর্গ।
তাদের উদ্যোগেই তার থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা ও চিকিৎসার খরচ বহন করা হচ্ছে
বিভিন্ন মানুষের সহযোগিতা।
প্রথম দিকে নিলা ভাউরী কিছুটা কথা বলতে পারলেও বর্তমানে বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেছেন। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ১৫ সেপ্টেম্বর তাকে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করা হয় মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে। বর্তমানে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক প্রণয় কান্তি দাশ ও সংশ্লিষ্ট স্টাফদের আন্তরিকতায় চলছে তার চিকিৎসা। সিভিল সার্জন মোঃ মামুনুর রহমানও নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে, সাংবাদিক মোঃ আব্দুস সালাম ও গিতা রাণী কানু জানান এ মহিলা চিকিৎসা জন্য ও পরবর্তী সময় পূর্ণবাসনের জন্য সরকারি ও সনাজের দানশীল ব্যক্তিবর্গদের সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন ।
যেহেতু এই মহিলার কোন আত্মীয়-স্বজন কেউ নাই দেখাশোনা এবং ভরণপোষণ পোষণের জন্য তাই সবার সহযোগিতা চেয়েছেন উনারা।
আজ হসপিটালে এ অজ্ঞাত অসহায় মহিলাকে দেখতে যান সোসাইটি অব জাতীয় গণমাধ্যম কমিশন মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি এড, ড. আবু তাহের, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক পায়েল আহমদ।